gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
তফসিল গোপন ও বিশেষ পক্ষে মনোনয়নপত্র বিক্রির অভিযোগ

❒ ভাতুড়িয়া কলেজে অভিভাবকদের বিক্ষোভ

প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০৯:৩৬:৫২ পিএম
অভিজিৎ ব্যানার্জী:
1662478668.jpg
পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনী তফসিল গোপন ও একটি বিশেষ পক্ষের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রির অভিযোগ তুলে ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে অভিভাবকগন প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া মনোনয়নপত্র সরবারাহের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকায় প্রতিষ্ঠানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। এলাকার বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে স্বচ্ছতা দাবি করে এই তফসিল বাতিল করে পুণ তপসিল দাবি করেছেন। যদিও এ ব্যাপারে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন বিধি অনুযায়ী তপসিল ঘোষণা ও মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় ও প্রতিষ্ঠান সূত্র জানিয়েছে, যশোর ভাতুড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজে পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পাওয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমাগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। দ্জুন নারী অভিভাবক সদস্য ও ৪ জন পুরুষ অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত করার লক্ষে এই তফসিল ঘোষিত হয়। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের অভিযোগ, তফসিলে বর্নিত সময়ে গিয়েও তারা মনোনয়নপত্র কিনতে পারেননি। মনোনয়নপত্র সরবরাহের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ আরিফ হোসেন অনুপস্থিত থেকে এই প্রহসনের জন্ম দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র কিনতে গেলেও তারা অধ্যক্ষকে পাননি। গোপনে একটি বিশেষ পক্ষ ও তার পছন্দের লোকজনের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছেন বলে তাদের দাবি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান কাজল, মেম্বার শফিয়ার রহমান, মেম্বার নাজমা বেগম, ওহেদুজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আতাউর রহমান, আতিয়ার রহমান, জামাল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, ইউনুস আলী, আমিনুর রহমান, মহাসিন আলী, আলমগীর হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তারা মনোনয়ন কিনতে গত দু’দিন গেলেও অধ্যক্ষকে পাননি। তফসিল টাঙিয়ে দিয়ে তিনি অনুপস্থিত থাকছেন একটি বিশেষ পক্ষের হয়ে। ৬ সেপ্টেম্বর ১০ মিনিটের জন্য একবার তিনি আসলেও আবার গা ঢাকা দেন।  সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত মনোনয়ন বিক্রি ও জমা নেয়ার সময় দেয়া হলেও ৬ সেপ্টেম্বর গ্রামের কাগজের ক্যামেরায় ধরা পড়ে দুটোর সময় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলছে।  এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসারকে বারবার জানালেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। একটি মহল থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে পাতানো নির্বাচন করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও দাবি তাদের। তারা নির্বাচনী এই তফসিল বাতিল করে পুণ তফসিল দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, বিধি ও প্রবিধান মেনেই তফসিল কার্যক্রম চলছে। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি গঠন প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ১৬ প্রবিধান মেনে চলছেন। তার জানামতে অধ্যক্ষ হাজির থেকেই গত ৩ তিন মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা নেয়ার কথা। তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তারা অধ্যক্ষকে পাননি, মনোনয়নপত্র কিনতে পারেননি। তবে ওই অভিযোগের সমাধান তার কাছে নেই। এ ব্যাপারে আরো উপরে অভিযোগ করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি অধ্যক্ষের সাথে কথা বলবেন। অনেকেই নির্ধারিত সময়ের পরে আসায় মনোনয়ন কিনতে পারেননি এমন তথ্যও তার কাছে এসেছে।

আরও খবর

🔝