প্রকাশ : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০৯:১৪:৫৫ পিএম
যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় রানা হামিদ নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। সোমবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এক রায়ে এ সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্ত রানা হামিদ বেনাপোল পোর্ট থানার খলসি গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে। গত বছরের পহেলা এপ্রিল তিনি ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সোনাসহ আটক হন। সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি এম. ইদ্রিস আলী। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের পহেলা এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ২১/সি কোম্পানির পুটখালীর সদস্যরা জানতে পারে শার্শা উপজেলার পাঁচভুলট গ্রামের সীমান্তবর্তী ঢেরেখালীতে অবস্থান নেয়। সকাল সাতটার পর ইজিবাইকযোগে একব্যক্তির আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। ইজিবাইক থামানোর জন্য সংকেত দিলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে রানা হামিদ জানান, ইজিবাইকের বডির নীচে বিশেষ কায়দায় সোনারবার রাখা রয়েছে। এরপর ইজিবাইকের চেচিসের ঢালাই ভেঙে ১৫ পিচ সোনারবার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন এক কেজি ৭৪৯ গ্রাম। মূল্য ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির নায়েক সুবেদার কামাল হোসেন খান বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলা তদন্ত করে গত বছরের ৩০ জুন শার্শা থানার এসআই মেহেদী হাসান চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রানা হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও একইসাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আসামি রানা হামিদ যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। রোববার আদালত আসামির উপস্থিতিতে সাজা প্রদান করে তাকে ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।