gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর যাত্রা শুরু
প্রকাশ : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০৩:২২:১৮ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : :
1662196956.jpg
ভারতে নির্মিত প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ যাত্রা শুরু করেছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) কেরালার কোচি শিপইয়ার্ডে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রণতরীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।আইএনএস বিক্রান্ত ভারতে তৈরি সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ। এর উচ্চতা ৬১ দশমিক ৬ মিটার অর্থাৎ প্রায় ১৫ তলা ভবনের সমান। ৪৫ হাজার টনের এই যুদ্ধজাহাজ ২৬২ মিটার দীর্ঘ ও ৬২ মিটার চওড়া। এই জাহাজে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ক্রু থাকতে পারবেন বলে জানা গেছে। এর সর্বোচ্চ গতি ২৪ নট। ৩০টি যুদ্ধবিমান ধারণে সক্ষম রণতরীটি। এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে শতকরা ৭৬ ভাগ দেশীয় সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বিক্রান্ত তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি রুপি।এই রণতরী উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও চীনের পর ষষ্ঠ দেশ হিসেবে ভারত বিমানবাহী রণতরী উৎপাদনকারী দেশের কাতারে নাম লেখাল।‘বিক্রান্ত’ একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ সাহসী। আইএনএস বিক্রান্তের নামকরণ হয়েছে এরই আগের একটি বিমানবাহী রণতরীর নামে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করেছিল ওই রণতরী। এবার পুরোনো রণতরীর নামেই নামকরণ করা হয়েছে নতুনের।১৯৯০ সালের পরে পুরোনো আইএনএস বিক্রান্তের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে রণতরী নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। ২০০৩ সালের দেশীয় প্রযুক্তিতে রণতরী নির্মাণের জন্য তৈরি নকশার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। জাহাজ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিক্রান্তের নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের আগস্টে প্রথমবার পানিতে নামানো হয় বিক্রান্তকে।এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের বেসিন ট্রায়াল ২০২০ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের জুলাই মাসে এটির ট্রায়াল শেষ হয়। ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরে এটি ২০২২ সালের জুলাই মাসে কোচি শিপইয়ার্ডের পক্ষ থেকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে আইএনএস বিক্রান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো।

আরও খবর

🔝