gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
খাগড়াছড়ির রামগড়ে পণ্যবাহী গাড়িতে আগুন
প্রকাশ : শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০৬:২৩:০৪ পিএম
শ্যামল রুদ্র, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ::
1662121405.jpg
খাগড়াছড়ির গুইমারায় ইউপিডিএফ সংগঠক অংথুই মারমাকে (৫০) হত্যার জেরে জেলার বিভিন্নস্থানে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।খাগড়াছড়ির রামগড় -জালিয়াপাড়া সড়কের ঢাকাইয়া কলোনী নামক স্থানে বেলা সাড়ে বারোটায় একটি মালবাহী ট্রাকে সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ,বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই মালসমেত গাড়িটি পুড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।জানা যায়, গুইমারা এলাকায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ( ইউপিডিএফ) নেতা হত্যার প্রতিবাদে ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ওই সড়কে খাগড়াছড়ি গামী চট্ট মেট্রো ট-১১- ৬৮১৫ মুরগীর খাদ্যবাহী গাড়িতে আগুন লাগায় এবং অন্যান্য গাড়িতে হামলা চালায়।চট্টগ্রাম সীতাকু-ের বাসিন্দা গাড়ি মালিক মো.ফজলুর করিম ড্রাইভার কামরুল ইসলাম(৩৪)কে উদ্ধৃত করে এই প্রতিনিধিকে বলেন, পোল্ট্রি খাদ্যবাহী গাড়িটি চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে সাড়ে বারোটায় ঢাকাইয়া কলোনী এলাকায় আসলে ইউপিডিএফ দলের ১৫/২০ জন কর্মী গাড়িটির গতি রোধ করে চালককে মারধর করে।  পরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় রাস্তায় চালাচলকারী কয়েকটি গাড়ি ভাঙ্গচোর করে ।সন্ত্রাসীরা নাশকতা শেষে  দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পাহাড়ের জঙ্গলে চলে যায়। রামগড় থানার ওসি( তদন্ত)  রাজিব কর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত  করে বলেন, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়ে গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনগত কার্যক্রম এখন প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি উল্লেখ করেন।  আগুনে গাড়িটির মালামাল সহ আনুমানিক ১৫-১৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ।খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের তা-বে জোড়া ব্রিজের দুপাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। একই সময়ে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের রামগড় দাতারামপাড়া রাস্তার মাথা এলাকায় মুরগির খাদ্যবাহী ট্রাকে আগুন দেয় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।এ ঘটনার পর পর খাগড়াছড়ি-রামগড় সড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এদিকে বিবৃতিতে অংথই মারমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফ। 

আরও খবর

🔝