প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০৫:৫০:৫০ পিএম
রামপালে ২৬৬০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ইউনিট-১ এর নির্মাণ সমাপ্তির ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদী।আগামী মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ ঘোষণা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।এদিকে, আগামী অক্টোবরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হচ্ছে।সোমবার (৩০ আগস্ট) রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে দেখার সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ প্রায় শেষ। ফলে অক্টোবর থেকে প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে পারবে। দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্প পরিচালক সুভাস চন্দ্র পা-ে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট প্রথম ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডে সফলভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই অক্টোবর থেকে পুরোদমে ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব যাতে না পড়ে সেজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেশ কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির সঙ্গে প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হচ্ছে। বায়ু এবং পানি দূষণ কমাতে ইন-বিল্ট কিছু ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজেশন সিস্টেম। এতে করে সালফার ডাই অক্সাইড বাইরে বের হতে পারবে না। নির্গত ফ্লু গ্যাস পিউরিফাই হয়ে ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি দিয়ে বের হয়ে যাবে।প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরিবেশ রক্ষায় আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পশুর নদীর দূষণ এড়াতে সমন্বিত বর্জ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া কম ছাই ও সালফার সামগ্রী উৎপন্নকারী উচ্চ গ্রেডের আমদানিকৃত কয়লার ব্যবহার করা হবে।মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি ভারত সরকারের রেয়াতযোগ্য অর্থায়ন প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড কর্তৃক বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের জন্য নির্মিত হচ্ছে। ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একটি ৫০:৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি এটি। ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট রয়েছে। এটি প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে এ প্রকল্প।চলতি বছর ৬ এপ্রিল পাওয়ার প্ল্যান্টটির ৪০০ কেভি জিআইএস সুইচ ইয়ার্ড এবং আন্তঃ সংযোগকারী ট্রান্সফরমারকে সক্রিয় করা হয়েছিল। সেই থেকে এটি পায়রা পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে ৪০০ কেভি বিদ্যুতের হুইলিং ফ্যাসিলিটি প্রদান করে আসছে, যাতে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন খুলনা অঞ্চলের সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রদানে সক্ষম হয়। উভয় ইউনিট চালু হলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি।