gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
নিষেধাজ্ঞায় সমৃদ্ধ হয়েছে সুন্দরবনের বনজসম্পদ, বেড়েছে মাছ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট , ২০২২, ০৩:৪৬:৫৩ পিএম
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
1661852834.jpg
টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর উম্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। পর্যটকদের আনাগোনায় ফের মুখর হয়ে উঠবে পুরো বনের নদী-খাল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো।বনবিভাগ জানিয়েছে, সুন্দরবন প্রবেশে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞায় সমৃদ্ধ হয়েছে বনজসম্পদ, বেড়েছে মাছের পরিমাণ ও বন্যপ্রাণীর সংখ্যা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের চাপ বাড়বে বলে আশা বনবিভাগের। তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা বলে জানান।বনবিভাগ জানায়, মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ আহরণ ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মূলত মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতেই বনবিভাগ এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো। কারণ প্রজনন মৌসুমে বনের অভ্যন্তরে মাছ শিকার ও পর্যটনবাহী নৌযান চলাচল করলে প্রজনন বিঘ্নিত হয়। তিন মাসের বেকার জীবনযাপন করা বননির্ভরশীল জেলে ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা জাল-নৌকা এবং লঞ্চ, জালিবোট ও ট্রলার সংস্কার করছেন। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই শেষ মুহুর্তে চলছে তাদের সেসব মেরামত, রং ও ধোয়া-মোছার কাজ। ট্যুর অপারেটর কামরুল ইসলাম ও কামাল গাজী বলেন, আমরা তিন মাস ধরে বেকার বসে থেকে কষ্টে জীবনযাপন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে ঘাটে পড়ে থাকায় নৌযানগুলোতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এখন সেগুলো মেরামত ও রংসহ সাজসজ্জার কাজ চলছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে আমরা পর্যটকদের বিনোদনে ভ্রমণ শুরু করবো। সেই সঙ্গে যাতে বনের কোন ক্ষতি না হয় এবং পর্যটকরা যাতে নদী ও বনের ভিতরে খাবারের প্যাকেট, পলিথিনসহ কোন ময়লা আবর্জনা না ফেলে সেই দিকে গাইডরা নজরদারি করবেন। কাইনমারী গ্রামের জেলে মো. আলআমিন ও শিলন সরকার বলেন, তিনমাস বনের নদী-খালে মাছ ধরতে না পেরে চরম আর্থিক কষ্টে দিন কাটিয়েছি। আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও দীর্ঘদিন জেলে কার্ডও পাইনি। যারা জেলে না এমন লোকও কার্ড পেয়েছেন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও কার্ড পেলাম না। এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের পরে নতুন কোন কার্ড ইস্যু করা হয়নি। এখন নতুন করে কাজ চলছে, যাচাই বাছাই করে প্রকৃত জেলেদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, টানা তিন মাস মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকায় সুন্দরবনে মাছের পরিমাণ ও বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমৃদ্ধ হয়েছে বনজ সম্পদ। তাই বনকে সুরক্ষিত রেখেই পর্যটন ব্যবসায়ীদেরকে ট্যুর অপারেটরের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকেরা যাতে সুন্দরবন কোনভাবেই দূষিত না করে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু পদ্ধা সেতু চালু হয়েছে, তাই সুন্দরবনে আগের তুলনায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। সেই তুলনায় বনের অভ্যন্তরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি আগের স্পটগুলোও সংস্কার করে দর্শনার্থীদের ভ্রমণ উপযোগী করে তোলা হয়েছে।

আরও খবর

🔝