gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চুড়ামনকাটির দাসপাড়া ফের অশান্ত
প্রকাশ : সোমবার, ২৯ আগস্ট , ২০২২, ১১:১১:১৩ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার, চুড়ামনকাটি (যশোর)::
1661793127.jpg
কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি দাসপাড়া। ইউপি নির্বাচনের পর থেকে হামলা, মারপিট, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেই চলেছে। থানায় একাধিকবার পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেছে দু’গ্রুপ। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ফাঁড়ি পুলিশ দফায় দফায় মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও একটি মহলের ইন্ধনের কারণে সেটি সফল হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সর্বশেষে রোববার রাতে পুনারায় হামলার ঘটনা ঘটে পাড়াটিতে। এতে ৪ জন আহত হয়। বর্তমানে ওই পাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর আনারস প্রতীকের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে ওই পাড়ার নেতাকর্মীরা। মূলত: তখন থেকে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অধিকাংশ নেতাকর্মীর অভিযোগ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আনারসের সমর্থক অসিম, উত্তম ও তপনের নেতৃত্বে শুরু হয় হামলার ঘটনা। এ পর্যন্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে ৭/৮ বার। সব মিলিয়ে আহত হয়েছে ১০/১২ জন। যে ঘটনায় দু’পক্ষের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান, ফাঁড়ি ও কোতয়ালী থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন।সর্বশেষ গত রোববার রাতে অসিম, উত্তম ও তপনের নেতৃত্বে পুনারায় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা লাটি, লোহার রড, দা নিয়ে হামলা চালায় ষষ্ঠি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। তারা ষষ্ঠির ছেলে প্রাপ্ত (২০), তার স্ত্রী প্রিয়া রানী দাস (১৮), মানিকের ছেলে মুক্ত দাস ও উত্তম দাসকে পিটিয়ে মারাত্নাক আহত করে।হামলাকারীদের ভয়ে উত্তম দাস, পরিতোষ দাস, রেমানিক দাস ও আনন্দ দাস বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দাসপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, দু’গ্রুপের সদস্যরা দু’পাশে অবস্থান নিয়ে রয়েছে। এখানে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা।এ ব্যাপারে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই সেলিম হোসেন জানান, দাসপাড়ার দুটি গ্রুপের সদস্যরা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায় দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। বিগত দিনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করেছে তারা। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন জানান, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে আমার পক্ষীয় লোকজনের উপর দফায় দফায় হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে আনারস প্রতীকের অসিম, উত্তম ও তপনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। তারা দফায় দফায় আমার লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখনোও হামলাকারীদের ভয়ে ৩/৪টি পরিবার অন্যত্র পালিয়ে রয়েছে। তিনি বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

আরও খবর

🔝