বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশ রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। বিদেশি প্রভুদের পদলেহনকারী,বর্তমান ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকার তার অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে পারবে না। বৃহত্তর যশোর তথা খুলনা বিভাগ থেকেই সেই আন্দোলন শুরু হবে। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার এই আন্দোলনকে সফল করবো ইনশাল্লাহ। শুক্রবার সকালে তিনি যশোর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, গোটা জাতি আজ মুক্তির জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে আছে। একদিকে প্রতিনিয়ত তাদের অবৈধ অস্ত্রের আঘাতে গণতন্ত্রকামী মানুষ জীবন দিচ্ছেন। অন্যদিকে, সীমাহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যাঁতাকলে জনগণ পিষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি পূর্বের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দলের মধ্যে রয়েছে ইস্পাত কঠিন ঐক্য। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই আধিপত্যবাদী শক্তির পতন ত্বরান্বিত করবো ইনশাল্লাহ। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তৃতা করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শামিমুর রহমান,আমিরুজ্জামান খান শিমুল,অমলেন্দু দাস অপু, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নি, কাজী মনিরুল হুদা প্রমুখ। সভায় খুলনা বিভাগের সকল জেলা বিএনপির শীর্ষ তিনটি পদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া, বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর গণসমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করতে করতে দেশটা দেউলিয়া বানিয়ে ফেলেছে। যাদুঘরে পাঠানো তাদের লোডশেডিং ফিরে এসেছে, দেশ আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহদে রুমি বলেন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তাদের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে।বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বর্তমান সরকার প্রকৃতপক্ষে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের কাছে জনগণের কোনো দাবি জানিয়ে লাভ হবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল তাদের সকল দাবি পূরণ হবে। গণসমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি নির্মল কুমার বিট,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা, যুগ্ম সম্পাদক রেজোয়ানুল ইসলাম খান রিয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, নগর  স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল বাশার সুজন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকির হোসেন, শামসুল আলম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল।