gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
ক্যানসার ঠেকাবে কলা! বিশেষ নিয়ম মেনে খেতে হবে প্রতিদিন
প্রকাশ : শুক্রবার, ১২ আগস্ট , ২০২২, ০২:৫৬:৩৬ পিএম
কাগজ ডেস্ক :
1660294620.jpg
ক্যানসার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা গবেষণা চালিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু যে ক্যানসারের ওষুধ আবিষ্কারের জন্য এই ধরনের গবেষণা- তা নয়। এর পাশাপাশি ক্যানসার কী করে প্রতিহত করা যায়, তা নিয়েও গবেষণা চলছে। সম্প্রতি এমনই এক গবেষণায় চমকপ্রদ একটি ফলাফল পেয়েছেন তারা। সেখানে দেখা গিয়েছে, হাতের কাছে থাকা একটি বিশেষ ফল ক্যানসার প্রতিহত করতে পারে। এটি আর কিছুই নয়, আমাদের অতি পরিচিত কলা। তবে একটি বিশেষ নিয়ম মেনে খেতে হবে এই ফলটি।সম্প্রতি ‘ক্যান্সার প্রিভেনশন রিসার্চ’ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরে ‘লিঞ্চ সিন্ড্রোম’ নামক একটি অসুখ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। এটি একটি ডিএনএ সংক্রান্ত অসুখ। সেটির গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, কিছু বিশেষ ধরনের স্টার্চ এই রোগ প্রতিহত করতে পারে। তার পরেই বিজ্ঞানীরা পৌঁছে যান ক্যানসারের মূলে। আর দেখা যায়, ওই বিশেষ ধরনের স্টার্চ ক্যানসার প্রতিহত করতেও সাহায্য করে।আসলে ‘লিঞ্চ সিন্ড্রোম’-এর পেছনে যেমন রয়েছে ডিএনএ-এর ত্রুটি, তেমনই ক্যানসারের ক্ষেত্রেও ডিএনএ-ঘটিত সমস্যা কাজ করে। তাই উভয়ের ক্ষেত্রেই চিকিৎসা বা প্রতিহত করার রাস্তাই একই হতে পারে বলেই মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই সূত্রেই তারা এই নতুন তথ্যটি আবিষ্কার করে ফেলেছেন।এবার আসা যাক, ক্যানসার প্রতিহত করার ক্ষেত্রে কী বলছেন তারা, সেই বিষয়ে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কলায় এমন ধরনের স্টার্চ রয়েছে, যা ক্যানসার প্রতিহত করতে পারে। ক্যানসারের কোষগুলো যাতে না বাড়ে, সেই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। শুধু তাই নয়, কেউ যদি ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তাহলে তার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কিছুটা সাহায্য করতে পারে এই ফল। অর্থাৎ ক্যানসারেরে চিকিৎসা চালাকালীন কেউ যদি নিয়মিত কলা খান, তাহলে তিনি চিকিৎসায় আরও ভালো করে সাড়া দিতে পারেন। কিন্তু কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে একটি নিয়ম মেনে চলার কথাও বলছেন তারা। কী সেই নিয়ম?বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কাল বেশি পাকা হলে চলবে না। টাটকা এবং একটু কম পাকা কলা খেতে হবে রোজ। এই জাতীয় কলায় যে বিশেষ ধরনের স্টার্চ রয়েছে, সেটিই ক্যানসার প্রতিহত করতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন তারা। বেশ কয়েক হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তারা।

আরও খবর

🔝