gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ

❒ খানসামা উপজেলায় বাড়ি বাড়ি জ্বর-সর্দির রোগী

প্রকাশ : বুধবার, ২০ জুলাই , ২০২২, ০৫:০২:৩৮ পিএম
এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ::
1658315073.jpg
বর্ষা মৌসুমেও নেই বৃষ্টি। ফলে আবহাওয়া জনিত কারনে ও প্রচণ্ড গরমের প্রভাবে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বেড়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। এতে উপজেলার প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে জ্বরের রোগী। এই প্রভাব পড়েছে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার ও ঔষধের দোকানে। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের।এদিকে প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ সংকটের সাথে দাম বৃদ্ধি নতুন ভোগান্তি।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শুধু করোনা ভাইরাস নয়, ঋতু পরিবর্তনেরও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে সবখানেই এখন জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর ও সর্দির প্রায় বর্হিবিভাগে ২৫০০ রোগী সেবা নিয়েছে ও অন্তঃবিভাগে সেবা এসব রোগের প্রায় ৩০০ রোগী চিকিৎসা নেয়।সরেজমিনে বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, এদিন জ্বর ও সর্দির প্রায় ৪৫০ জন রোগী সেবা গ্রহণ করে। যা বর্হিবিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে জ্বর-সর্দির রোগীর সংখ্যা ছিল শতকরা ৮০ ভাগ। আর অন্তঃবিভাগে ভর্তি হয়ে সেবা নেওয়া রোগীদের মধ্যে জ্বরের রোগী শতকরা ৪০ ভাগ। বেডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই মেঝেতে থেকে সেবা নিচ্ছেন।হঠাৎ জ্বরের রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে তাঁদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ, স্যাকমো ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ।হাসপাতালে সেবা নিতে আসা পাকেরহাট এলাকার জামান বলেন, প্রচন্ড জ্বর আর সর্দিতে প্রথমে ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিয়ে খেয়েছি। এতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এসেছি কিন্তু হাসপাতালে রোগীর ভিড় প্রচুর। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে দেখাতে পেরেছি।দেখা যায়, এই আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশির সঙ্গে বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ। সব মিলিয়ে এই ধরনের আবহাওয়া মানুষকে অনেকটাই কাবু করে ফেলছে।এইজন্য সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং বেশি পরিমানে পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক খেতে নিষেধ করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকগণ।পাকেরহাট এএফআর মেডিসিনি মার্টের সত্ত্বাধিকারী বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, জ্বরের রোগী বাড়ার সাথে বাজারে কিছু কোম্পানির প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ সংকট থাকলেও অধিকাংশ কোম্পানির এই গ্রুপের ঔষধ পর্যাপ্ত আছে। তিনি আরো বলেন, গতকাল থেকে অনেক ঔষধের দাম বৃদ্ধি করেছে কোম্পানি।খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, ‘তীব্র গরমের কারণে জ্বর সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা হাসপতালে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ ঠিক আছে। তবে জনবল সঙ্কটে অনেক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা রোগীদের সেবায় সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

আরও খবর

🔝