gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বোঝার চেষ্টা করছি, আর কতো দিক থেকে আক্রমণ হতে পারে: মাশরাফী
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই , ২০২২, ০৭:৪০:৩৫ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
1658238076.jpg
সম্প্রতি ফেসবুকে ধর্ম অবমানার অভিযোগ তুলে নড়াইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। ধর্ম অবমাননায় অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে, আদালত তাকে রিমান্ডও দিয়েছেন। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। আজ ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু নিচে তুলে দেয়া হলো।“একটু বোঝার চেষ্টা করছি, আর কতো দিক থেকে আক্রমণ হতে পারে।প্রথম আক্রমণের কথা হয়তো সবাই ভুলে গেছে, তাই মনে করিয়ে দিচ্ছি। প্রথম ঝামেলা করল তারা মাওলানা মামুনুলকে নিয়ে। তাকে যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দিল, তখন ওয়াজ করার জন্য তাকে নড়াইলে আনা হলো। কথা হলো, যখন ওয়াজ মাহফিল হয়, সেটার পারমিশন দিয়ে থাকেন ডিসি, নিরাপত্তার ব্যাপার দেখেন এসপি। এখানে এমপিদের কোনো কাজই নাই। কিন্তু ডিসি বা এসপি থেকে আমাকে বিন্দুমাত্র না জানিয়ে ওয়াজ মাহফিল দেওয়া হলো নোয়াগ্রামে, যেখানে আমার শ্বশুরবাড়ি। তাকে আগেই বলা হলো যে ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি নেওয়া আছে, আপনি চলে আসেন। অথচ কালনা ঘাট পর্যন্ত আনার পর তবেই কেবল ডিসিকে জানাল, এসপিকে জানাল। ঘাট থেকে যখন তাকে বলা হলো যে, ‘আপনার চিঠি কোথায়?’ সে দিতে পারল না। মাহফিল কর্তৃপক্ষ তখন আমাকে ফোন করে বললো, ‘আপনি সমস্যা ঠিক করেন।’ কথা হলো, তখন এই সমস্যার সমাধান করা কীভাবে সম্ভব? এটা তো পুরোটাই একটা প্রক্রিয়া, যা আরও সাত দিন আগে থেকে করতে হয়!তখন ওই লোকগুলো বলা শুরু করে দিল, আমি নাকি ওয়াজ মাহফিল হতে দিচ্ছি না। পুরো খেলাটা খেলেছে এমন ভাবে, তাকে আমা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় এনে সরকারের কাছে প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, আমি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মানছি না। আর যদি না আসতে পারে, তাহলে প্রচার করা হবে যে, মাশরাফি ওয়াজ করতে দেয় না। দুই দিক থেকেই তাদের জয়। আর দুই পক্ষের কাছেই আমাকে খারাপ বানাবে।তবে যাই হোক, আল্লাহ মালিক, সত্য আর চাপা থাকেনি। সবাই কম-বেশি জেনেছে সত্যিটা, আর যারা জানে না, তারা ভুল বুঝেই আছে।এবার উল্টো খেলা খেলল তারা। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের ওপর আক্রমণ করে তাদেরকে বিপদে ফেলা, পাশাপাশি আমাকেও বিপদে ঠেলে দেওয়া। এমনকি, কিছুদিন আগে কালিয়ার মির্জাপুরে সম্মানিত একজন শিক্ষককে অপমানের ঘটনায়ও আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে, অথচ ওটা আমার আসনের ভেতর নয়।যাক, আপনারা সব তো করলেন, এবার আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ, পেছন থেকে আঘাত করতে করতে আপনারা ক্লান্ত হয়ে যাবেন। তো আসুন, সামনে থেকে আঘাত করুন। আমার সঙ্গে সরাসরি লড়াই করুন। আমি সাধুবাদ জানাব। কিন্তু আমাকে ভোগানোর জন্য দয়া করে অসহায় সাধারণ মানুষের আর ক্ষতি করবেন না। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, লড়াই আমার সঙ্গে করুন।আমি জানি, নড়াইলে রাজনীতি যাদের কাছে পেশা, তাদের কাছে আমি এখন নেশা -----।”

আরও খবর

🔝