gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
যশোরে জড়িত কাজীদের জেল ও জরিমানার কঠোর হুঁশিয়ারি

❒ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বাল্য বিয়ে

প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৭ জুন , ২০২২, ০৯:১৭:২৫ পিএম
কাগজ সংবাদ :
1654615085.jpg
বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ও সোচ্ছার হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। যশোরে বাল্য বিয়ে বৃদ্ধিতে উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কাজীদের। বাল্য বিয়ে পড়ালে, বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রি করলে সেই কাজীর জেল জরিমানা করা হবে বলেও জানান যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বাল্য বিয়ের নানা কুফল ও অনেক খারাপ দিকের উদাহরণ টেনে যশোরের জেলা প্রশাসক বলেছেন, কেবল মাত্র নিবন্ধনধারী কাজীরাই বৈধ কাজী। অবৈধ কাজীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে, তারা চরম অসম্মানীত হবেন। ৭ জুন সকাল ৯ টায় যশোরের জয়তী সোসাইটিতে জেলা রেজিস্টার কার্যালয় আয়োজিত বাল্য বিয়ে রোধে কাজীদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।জেলা রেজিস্টার শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সায়েমুজ্জমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান ও রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক। অতিথিবৃন্দ বলেন, বেশিরভাগ কাজী সরকারি বিধি মেনে চলেন। তবে চিহ্নিত কিছু কাজী এত খারাপ এত নোংরা যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। টাকার নেশায় বাল্য বিয়ে প্রতারণামূলক বিয়ে, অবৈধ বিয়ে দিয়ে চলেছেন। আবার এক কাজীর হয়ে বিয়ে পড়িয়ে প্রতারণা করে চলেছেন। তাদের ভুলের কারণে ভয়ংকর সব সমস্যা হচ্ছে। অনেক বিয়ে টিকছে না। সমাজে নানা কুফল বয়ে আনছে। সরকারি বয়স হিসেবে কিশোরী ও শিশুদের বিয়ে দিচ্ছেন তারা মোটা অংকের টাকায়। এ ব্যাপারে কাজীদের শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে বাল্য বিয়েকে না বলতে হবে। এসময় একাধিক মামলার আসামি আলোচিত প্রতারক কাজী হোসাইন ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার নুরুল আমিন কাজীকে কাজী নামধারী প্রতারক আখ্যা দেয়া হয়। মতবিনিময় সভায় জেলা বাল্য বিয়ে নিরোধ কমিটির সদস্য বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান, বাঘারপাড়া থেকে ১১ মে অল্প বয়সী মেয়ে অপরহণ হলে থানায় অভিযোগ দেয়া হলে টালবাহানা শুরু হয়। মেয়ের বাবা থানায় অভিযোগ দেন এবং এসপিকেও জানান। এরপরও অদ্যাবধি উদ্ধার হয়নি ওই কিশোর মেয়েটি। বাল্য বিয়ের ব্যাপারে প্রশাসনকে তথ্য দিলে তা গোপন রাখার আহবান জানানো হয়। অনেক সময় রাজনৈতিক চাপে বাল্য বিয়ে হয় বলেও জানানো হয় সভা থেকে।জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন জেলা কাজী সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম। এছাড়া উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। উপস্থিত কাজী নেতারা বাল্য বিয়ে পড়বেন না উল্লেখ করেন। এছাড়া হোসাইন কাজী ও নুরুল আমিন কাজীর কঠোর শাস্তি দাবি করেন তারা।

আরও খবর

🔝