gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
নাজিরপুরে এলাকাবাসীর তৈরি রাস্তার কাজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলন
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৭ জুন , ২০২২, ০৭:০১:৪০ পিএম
আল-আমিন হোসাইন, নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি::
1654608973.jpg
পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসীর তৈরি রাস্তার কাজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৃথক দু’টি রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলেও স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য শিলা শিকদার ওই কাজটি টিআর প্রকল্পের চেয়ারম্যান হিসাবে প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন শ্রীরামকাঠী গ্রামের  তোফাজ্জেল হোসেন শেখের বাড়ির পাশের একটি সুপারি গাছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) এর ওই কাজের সাইবোর্ড সাটানো রয়েছে। এতে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের সাধারন টিআর দ্বিতীয় পর্যায়ের বরাদ্দ বাবদ ‘২৯/২১-২২’ এর জীবগ্রাম সুখরঞ্জন এদবরের বাড়ী হতে উত্তম মিস্ত্রীর বাড়ী পর্যন্ত এবং দক্ষিন শ্রীরামকাঠী তোফাজ্জেল শেখ এর বাড়ী হতে সুদেব ঢালীর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামত বাবদ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৮ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়। ওই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন শ্রীরামকাঠী গ্রামের সুশীল ঢালী জানান, আমাদের বাড়ির সামনের মাটির সরু রাস্তাটি ভাঙ্গা ছিলো। তা দিয়ে চলাচলে দীর্ঘ দিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিলো। তাই  গত বছরের নভেম্বর মাসে (তৃতীয় ধাপ) অনুষ্ঠিত ইউপির নির্বাচনের আগে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী লিটন হাওলাদার এলাকায় ভোট চাইতে আসেন। তখন এলাকার সবাই তাকে ভোট দিবে শর্তে আমাদের বাড়ির সামনের ওই রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানাই। এ বাবাদ তখন তিনি আমাদের ১২ হাজার টাকা দেন। ওই টাকা দিয়ে বালু ক্রয় এবং আমরা স্থানীয় প্রায় ২৫জন নারী-পুরুষ মিলে ৪০দিন ওই রাস্তা মেরামতের কাজ করি। কিন্তু  গত প্রায় দেড় মাস আগে স্থানীয় সংরক্ষিত (৭, ৮ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) নারী ইউপি সদস্য শিলা শিকদার প্রকল্পের চেয়ারম্যান দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়। এ ব্যাপারে ওই   প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যন (সিপিসি) স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিলা শিকদার জানান, তিনি ওই ওয়ার্ডের নতুন মেম্বার। স্থানীয় সাধারন সদস্য লিটন হালদার (লিটু) তাকে ওই কাজের সিপিসি করেছেন মাত্র। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য লিটন হালদার জানান, আমাদের তেমন কোন আয় নাই। তাই ওই প্রকল্পটি দেখিয়ে উত্তোলন করা টাকা  ইউনিয়নের মেম্বাররা খরচ হিসাবে ভাগ করে নিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. এস্রাফিল হোসেন জানান,  বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

🔝