gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
সর্বত্র আলোচনার বিষয় উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল

❒ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ

প্রকাশ : বুধবার, ১ জুন , ২০২২, ১০:০৮:২৬ পিএম
দেওয়ান মোর্শেদ আলম:
1654099738.jpg
যশোরের কাজীপাড়া নিরিবিলি পাড়ায় মাটির নিচে থেকে ড্রাম থেকে কঙ্কাল উদ্ধার ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে যশোরাঞ্চলের সর্বত্র। সর্বত্রই একই আলোচনা, ওই কঙ্কালটি কোন হতভাগ্যের পরিস্কার হওয়া দরকার। অনেক নিখোঁজ জিডির দিকে নজর দিচ্ছে পুলিশ। আবার অনেকে নিখোঁজ আপন জনের খোঁজে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করছেন, কঙ্কালটি তাদের আপনজনের কিনা সেই শংকা থেকে। এদিকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। আর কঙ্কালটি থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।৩০ মে দুপুর ১২ টার দিকে যশোর শহরের কাজীপাড়া নিরিবিলি এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বজলুর রহমানের কেনা একটি জমিতে নির্মাণ কাজ করার সময় শ্রমিকরা একটি পুরোনো ড্রাম দেখতে পান। পরে ওই ড্রামের ভেতরে ও আশপাশে চুনের আবরণ দেখতে পান। দূর্গন্ধ ও ড্রামের বিষয়টি পুলিশকে জানালে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ড্রাম খুলে মানুষের কঙ্কাল দেখতে পান। কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় সর্বত্রই একই আলোচনা হচ্ছে ওই কঙ্কালটি কোন হতভাগ্যের? কোন মায়ের বুক খালি করে এনে তাকে পুতে রাখা হয়েছিল ওখানে? যদিও থানা পুলিশ উদ্ধার ঘটনার দিনই জানায়, ৩ থেকে ৪ বছর আগের একটি হত্যাকান্ড ও লাশ গুম ঘটনার পরের গল্প এটি। এখন খুঁজতে হবে কঙ্কালটি কার? এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর সেই আলোকে নিখোঁজ কিছু জিডির উপর কাজ শুরু হয়েছে। আবার স্বজন নিখোঁজ হওয়া অনেকে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করছেন কঙ্কালটি তাদের স্বজনের কিনা সেই শঙ্কা থেকে। পুলিশের চলমান কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়েছে কঙ্কাল উদ্ধার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন। ১ জুন যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাবুল কিশোর সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুস সামাদ ও ডাক্তার আব্দুর রশিদ।একই সাথে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে ১ জুন। এরপরে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে ওই কঙ্কাল দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।কাজীপাড়ার যে জমির নিচ থেকে কঙ্কালের ড্রামটি উদ্ধার হয়েছে সেই জমির বর্তমান মালিক বেনাপোলের শাঁখারিপোতা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বজলুর রহমান। তিনি আড়াই বছর আগে মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই জমিটি কেনেন। মশিউর রহমানের আগে ওই জমির মালিক ছিলেন আজিজুল হক বুকড়া। আর এই আজিজুল হক বুকড়ার মেয়ের জামাই হচ্ছেন মশিউর রহমান। কঙ্কাল উদ্ধার ঘটনায় পিবিআই মাঠে নেমেছে। রহস্য উন্মোচন চেষ্টা চলছে কঙ্কালটি আসলে কোন হতভাগ্যের। এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পুলিশের কয়েকটি টিম ওই কঙ্কালটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। অনেক নিখোজ জিডি নিয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। অন্যান্য থানায় এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ১ জুন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কঙ্কালটির দাফন করেছে।

আরও খবর

🔝