বান্দরবানের লামায় গ্রামের  কাগজ  লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ও দৈনিক নাগরিক ভাবনা পত্রিকার রিপোর্টার জাহিদ হাসান সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। ৩০ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার বাড়ি পাশে সড়কে সন্ত্রাসী হামলা হয় তার উপর। হামলাকারীরা সাংবাদিক জাহিদ হাসানের একটি দামি মোবাইল সেট ও পকেটে থাকা সতের হাজার তিনশ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে লামা থানায় এজাহার দায়ের করেছে সাংবাদিক জাহিদ হাসান। মামলায় বিবাদী করা হয়, আলী হোসেন জাহাঙ্গীর, আলমগীর হোসেন, আকরাম হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো তিন/ চার জনকে। হামলাকারী উল্লেখিত তিনজন আপন সহোদর। থানায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তিন সহোদর এলাকায় প্রভাব কাটিয়ে নিরীহ মানুষের উপর জুলুম ও নির্যাতন করে আসছে। ঘটনার দিন, সকালে বিবাদীদের সাথে অপর পক্ষের লোকজন জায়গা-জমি নিয়েবিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সময় রিপোর্টার জাহিদ হাসান বাড়ি থেকে বাজারে উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে। এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি ও লাঠিদ্বারা মেরে শরীরের মারাত্মক জখম করে। ওই সময় হামলাকারীরা প্যান্টের পকেটে থাকা ঠরাড়ণ২০ স্মার্ট মোবাইল ফোন ও শার্টের পকেটে থাকা নগদ সতেরো হাজার তিনশ্ টাকা  ছিনিয়ে নেয়। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী  লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। হামলাকারীরা সাংবাদিককে, মামলার আশ্রয় না নেয়ার হুমকি দেয়"। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী কয়েকজন জানান, ৩০ মে সকালে আলী হোসেন জাহাঙ্গীরসহ তারা তিন সহোদর মিলে ভূমি বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশি সুলতান নামের একজনসহ আরো ২ নারী, শিশুকে দায়ের কোপে রক্তাক্ত করে। ওই সময় হামলাকারীরা ভেবেছিল যে, রিপোর্টার হামলার ভিডিও ধারণ করেছেন। এমন সন্দেহ থেকে মূলত সাংবাদিক জাহিদ হাসানের উপর হামলা ও তার টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। জমির সীমানা বিরোধের জের ধরে এর আগে হামলাকারীরা তিনজনকে দা দিয়ে কুপিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা চালাই। তারা বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক ভর্তি আছে।   আহতদের মধ্যে সুলতান নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানাগেছে। একজন ১১ বছরে মেয়ে শিশুও দায়ের কোপে রক্তাক্ত হয়। এদিকে সাংবাদিকসহ নিরীহ প্রতিবেশির উপর প্রাণঘাতি হামলার নিন্ধা ও অপরাধীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাংবাদিক সমাজ।