প্রকাশ : বুধবার, ১ জুন , ২০২২, ১১:১৭:৪২ এ এম
দেশে প্রথম বারের মত মাছ পরিবহনে তৈরি হয়েছে মাছ গাড়ি নামে একটি মোবাইল অ্যাপ। যা যশোর থেকেই কাজ করছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে। এ অ্যাপসের মাধ্যমে মাছ বাজারে পৌঁছানোর জন্য অর্ডার করলেই চলে যায় গাড়ি। যার মাধ্যমে সহজেই একজন মাছচাষী তার পুকুর থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রির জন্যে পাঠাতে পারছেন। যশোর অঞ্চলে গত বছর অ্যাপটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে এ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘মাছ গাড়ি’ এর পর্যবেক্ষন বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার এ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ল্ডফিসের মাধ্যমে মাছ পরিবহনের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘মাছ গাড়ি’র মূল উদ্দেশ্য হলো বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে মৎস্য খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা। সভায় অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম ফেরদৌস আলম, যুগ্ম সচিব হাফছা বেগম, উপ-সচিব এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক। সভায় অনলাইনে যুক্ত হন বিভিন্ন জেলার প্রায় ২৫ জন জেলা মৎস কর্মকর্তা। সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, মৎস্য খাত এ মাছ গাড়ি সংযোজন একটি উল্লেযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি মাছ পরিবহনে যুগান্তকারী অবদান রাখবে। সভায় ‘মাছ গাড়ি’ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অ্যাপসের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই এক হাজার সাতশ ৪৭টি ট্রিপ এবং ৭শ’ ৩২ মেট্রিক টন মাছ প্রকল্প এলাকা থেকে পরিবহন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ডফিসের পক্ষে প্রকল্পের চিফ অফ পাটি ডক্টর মনজুরুল করিম, ডেপুটি চিফ অফ পার্টি ডক্টর সামসুল কবির।