gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
সোনারগাঁও হোটেলের ২১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৩১ মে , ২০২২, ১১:৫৬:১৯ এ এম
ঢাকা অফিস::
1653976611.jpg
রাজধানীর অভিজাত হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পূরক শুল্কসহ ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রায় ছয় বছরে পানশালা (মদের বার) ও ড্যান্স ফ্লোরের বিভিন্ন সেবায় প্রযোজ্য ওই শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধে পাঁচ তারকা হোটেল কর্তৃপক্ষকে ১৫ কর্মদিবস সময় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বিভাগ।যদিও অপরিশোধিত বা বকেয়া রাজস্ব আদায়ে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বিভাগকে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আদালতের চূড়ান্ত রায়ে বিষয়টির মীমাংসা হয় এবং ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ জারি হয়।প্রায় ছয় বছরে পানশালা (মদের বার) ও ড্যান্স ফ্লোরের বিভিন্ন সেবায় প্রযোজ্য ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধে পাঁচ তারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও কর্তৃপক্ষকে ১৫ কর্মদিবস সময় দিয়েছে এনবিআর।ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেল সোনারগাঁওয়ের অডিট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হান্নান বলেন, সরকারের কিছু সাংঘর্ষিক আইন রয়েছে। ওই আইন নিয়েই এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। যে কারণে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শুধু আমাদের হোটেল নয়, বাংলাদেশের অনেক অভিজাত হোটেল একই ধরনের সমস্যা নিয়ে আদালতে গিয়েছিল সুরাহা পাওয়ার জন্য। যদিও আদালতের রায় আমাদের বিপক্ষে গেছে। কোর্ট আমাদের আপিল ডিসমিশড (খারিজ) করেছে। ‘এখন আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেটা মেনে নিতে হবে। এর বাইরে আমার বলার কিছু নেই।’অন্যদিকে, এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, রাজধানীর অভিজাত শ্রেণির মাস্তি ও বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বিলাসবহুল হোটেলগুলো। এর মধ্যে অন্যতম পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁও। অভিজাত হোটেলটির রয়েছে আলাদা পানশালা (মদের বার) ও ড্যান্স ফ্লোর। বিলাসী এ পানশালা ও ড্যান্স ফ্লোরের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কসহ ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল। গত ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শুল্কবাবদ ভ্যাট পরিশোধ করেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট বিভাগ রাজস্ব ফাঁকির এ তথ্য উদঘাটন করে।

আরও খবর

🔝