gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বকেয়া পাঁচ মাসের বেতনের দাবিতে দিশার শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : সোমবার, ৩০ মে , ২০২২, ০৯:৫২:৩৪ পিএম
কাগজ সংবাদ :
1653925974.jpg
যশোরে দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা পরিচালিত ঝরেপড়া শিশুদের নিয়ে চলমান প্রকল্পের প্রায় ৬শ’ শিক্ষক পাঁচমাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দ্রুত তাদের বেতন ভাতা, শিক্ষার্থী উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদানের দাবিতে সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। বেলা ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক মোস্তফা কামাল আবির। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যশোরের আটটি উপজেলা ও পৌরসভায় বর্তমানে ৫শ’৫১টি স্কুল চালু রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগ্রাম (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের অধীনে ৫শ’ ৫১ জন শিক্ষক ও ৪২ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়। শিক্ষকদের উপজেলা পর্যায়ে পাঁচ হাজার ও পৌর এলাকায় ১০ হাজার এবং সুপারভাইজারদের ২০ হাজার টাকা করে বেতন দেয়ার কথা থাকলেও এখনো কোনো শিক্ষক বেতন পাননি বলে অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝরেপড়া শিশুদের পাঠদানে বিভিন্ন মহল্লায় নেয়া হয় ঘরভাড়া। যার বরাদ্দ চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকার মধ্যে। সেই ঘর ভাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বাকি। ৪২ মাসের এ প্রকল্পে পাঁচ মাস কেটে গেলেও দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা কাউকে কোনো বেতন প্রদান করেনি। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা আগামী ১৫ জুনের মধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় দিশার কোনো কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। তারা বলেন ১৫ জুনের পর দিশা অফিস ঘেরাও করা হবে। একইসাথে বৃহৎ আন্দোলনে যাবেন শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, উম্মে হাবিবা, শারমিন সুলতানা, আরিফা সুলতানা, আফিয়া ইবনাত, তাসনিম অনন্যাসহ ৫২ জন শিক্ষক।এ ব্যাপারে দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাহিমা সুলতানা বলেন, সরকার বরাদ্দ দেয়নি বলে শিক্ষকদের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। সরকার দিলেই সবাই এক সাথে বেতন পাবেন বলে তিনি জানান।  

আরও খবর

🔝