gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুলের ছাউনি, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান
প্রকাশ : বুধবার, ১৮ মে , ২০২২, ০৩:২৩:২৩ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
1652865826.jpg
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, সোমবার (১৬ মে) মধ্যরাতে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। তবে পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে খোলা আকশের নিচেই বসে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় যে কোনো সময় বৃষ্টি আসতে পারে। এই শঙ্কা মনে নিয়েই তারা ক্লাস করছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফাত আলী জানায়, এভাবে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করা খুবই কষ্টকর। মাথার ওপর রোদ নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। কখন আবার বৃষ্টি চলে আসে সেই ভয় কাজ করছে। এটা তাড়াতাড়ি ঠিক না করলে আমরা ক্লাসই করতে পারব না। অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় গড়ে উঠা বিদ্যালয়ে এলাকার ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে। কিন্ত ঝড়ে ঘর ভেঙে গেছে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ অস্বচ্ছল বলে অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় মেরামতের টাকাও জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই যারা সমাজে স্বচ্ছল মানুষ রয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তিনি আরও বলেন, ঝড়ে বিদ্যালয়ের ছাউনি উড়ে যাওয়ার পরই আমরা বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা ঘরগুলো মেরামতের দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।গোমস্তাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী খাতুন জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন বলেন, বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ফেরাতে ও ভোগান্তি কমাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কক্ষ মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৫১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষক পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন।

আরও খবর

🔝