প্রকাশ : সোমবার, ২ মে , ২০২২, ০১:৪৫:২১ পিএম
দশ সেট ট্রেন দিয়েই যাত্রা শুরু করছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ঘণ্টায় চলাচল করতে পারবেন ষাট হাজার যাত্রী। এরইমধ্যে বারো সেট ট্রেন এসে পৌঁছেছে দিয়াবাড়ীর ডিপোতে। ভাড়া চূড়ান্ত না হলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থায়ী কিংবা একবার ভ্রমণ দুইভাবেই নেওয়া যাবে মেট্রো ভ্রমণের কার্ড।ডানা মেলেছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। বছরের পর বছর ধরে যানজটে ভুগতে থাকা এ নগরবাসীর কাছে আশীর্বাদ হয়ে আসবে এই প্রকল্পটি। উত্তরার দিয়াবাড়ীতে শুরু পল্লবী হয়ে মিরপুর দশ শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও। এরপর ফার্মগেট দিয়ে মতিঝিল সড়কের বুক চীড়ে জেগে উঠেছে যেনো ঢাকাবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার ফসল।গুণে গুণে আর সাত মাস। ডিএমটিসিএল এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে এবারের বিজয় দিবসেই বৈদ্যুতিক রেলের জগতে পা রাখছে বাংলাদেশ। সেই হিসেবেই দিনরাত চলছে কাজ। প্রাথমিক লক্ষ্য উত্তরা থেকে আগারগাঁও।কর্তৃপক্ষ বলছে, এরই মধ্যে দিয়াবাড়ীর ডিপোতে পৌঁছে গেছে বারো সেট ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনই প্রতিনিয়ত অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের পারফরমেন্স টেস্টে। এরই মধ্য থেকে দশ সেট ট্রেন দিয়েই শুরু হবে বাণিজ্যিক যাত্রা। পুরোপরি চালু হতে আরও বছরখানেক সময় লাগলেও উত্তরা থেকে আগারগাঁও এই দশ সেট ট্রেনের মাধ্যমেই দৈনিক পাঁচ লাখ মানুষ চলাচল করতে পারবে।ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আমাদের দশ সেট ট্রেন হলে আনায়াসেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেন চালাতে পারব। ইতোমধ্যে আমাদের বারো সেট ট্রেন চলে এসেছে। সেই সঙ্গে আরও দুই সেট ট্রেন সহসাই চলে আসবে।সর্বনিম্ন বিশ টাকা থেকে সর্বোচ্চ পঁচাত্তর- মেট্রো রেলের ভাড়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলেও তা চূড়ান্ত মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। তবে তারা বলছেন যাত্রী চাইলে নিতে পারবেন স্থায়ী কার্ড আর থাকবে র্যাপিড পাসের ব্যবস্থাও।এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোতে দুই ধরনের কার্ড ব্যবহার করা যাবে একটা হচ্ছে র্যাপিড পাস, অন্যটি হচ্ছে এমআরটি পাস। এ পাসটা দিয়ে আপনি একদিন, সারা মাস এবং সারাজীবনও চড়তে পারবেন।প্রথম পর্ব চালু হলেও তা রাজধানীর যানজটের পাশপাশি, কার্বন নিঃসরণ কমাতেও সহায়ক হবে বলে মনে করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।