gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বাগমারায় অপহরণের দুই মাস পর অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:৪৫:০৩ পিএম
রাজশাহী ব্যুরো ::
1650980731.jpg
অপহরণের দুইমাস পর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নোয়াখালী থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অপহরণকারীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে অন্যবাসায় স্কুলছাত্রীকে রেখে পালিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া ওই স্কুলছাত্রীকে মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর বাগমারায় চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসে ওই ছাত্রী অপহরণের শিকার হন। খোঁজে না পাওয়াতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রী রাজশাহী ক্যান্টমেন্ট বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী (১৩) রাজশাহী শহর থেকে চাচার বাড়ি উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে বেড়াতে আসছিল। ওইদিন দুপুরে একই গ্রামের ফিরোজ হোসেন (২১) তাঁর ৪ সহযোগিদের নিয়ে রাস্তা হতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যান। এসময় স্কুলছাত্রী চিৎকার শুরু করলে অপহরণকারীরা মুখ চেপে ধরেন। তাঁরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে অপহরণকারী ফিরোজ হোসেন তার বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক, আউচপাড়া ইউনিয়নের শিহালী গ্রামের মৃত সেফাতুল্লার ছেলে আব্দুল জলিল, নরদাশ ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের সেকেন্দোর আলীর ছেলে এবারোক হোসেন এবং শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের নজের আলীর ছেলে উজ্জল হোসেনকে আসামী করে একটি অপরহণ মামলা দায়ের শিশুটির পিতা আবু সায়েম। মামলার পর থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাগমারা থানা পুলিশ। অপরহণের পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে নিয়ে রাত্রি যাপন করেন অপহরণকারী ফিরোজ। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মাঝে মধ্যে সন্ধান পাওয়া গেলেও পরে তা আবারও পরিবর্তন করেন অপহরণকারী। স্কুলছাত্রীর পিতা বলেন অপহরণের বিষয়টি জানার পর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করি। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি)  মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, অপহরণ মামলা দায়েরের পর থেকেই ভিকটিমকে উদ্ধারের সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় পুলিশ।  অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর

🔝