gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
নওগাঁয় বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, খোলা তেলেরও বেড়েছে দাম
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:৪২:১৭ পিএম
নওগাঁ প্রতিনিধি :
1650980573.jpg
নওগাঁর বাজারে হঠাৎ করে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানদার বোতলজাত তেল বিক্রি করছেন না। ফলে তেল সংকটে সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা।এদিকে কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের সঙ্গে আটা, চা ও সরিষার তেল কিনতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ করেছেন দোকানিরা। আবার অনেক সময় বাড়তি পণ্যসহ ভোজ্যতেল অর্ডার করলেও সরবরাহকারীরা তা দিতে পারছেন না।নওগাঁ শহরের পুরাতন মাছ বাজার (বর্তমানে মসলাপট্টি) ও নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ভোজ্য তেলের তীব্র সংকট রয়েছে। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল নেই। আবার খোলা তেলের দাম বেড়েছে।মেসার্স আবিদ ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক আল মামুন হোসেন বলেন, বসুন্ধরার তেল অর্ডার করলে সঙ্গে আটা এবং তীরের সঙ্গে সরিষার তেল কিনতে হবে। এছাড়া রুপচাঁদা ও পুষ্টির তেলের সরবরাহ নেই। তাই বোতলজাত তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। সাদা চিনি ৭৮-৮০ টাকা কেজি এবং লাল চিনি ৮৬-৮৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেল ১৯৫-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৮০-১৮৫ টাকা কেজি। প্রতি সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের চাহিদা ছিল ২ কার্টন। ডিলাররা বলছেন, সয়াবিন তেলের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।শহরের নতুন বাজারের ভাই ভাই মুদি দোকানের মালিক নিরঞ্জন সাহা বলেন, এক সপ্তাহ থেকে বোতলজাত তেল সংকট চলছে। বোতলজাত তেল নিতে হলে সরবরাহকারীরা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। এক কার্টনে এক লিটারের বোতলজাত তেলের ১৮টি বোতল থাকে। ১ লিটার তেলের দাম ১৬০ টাকা। ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দাম ৭৫০ টাকা। আর বিক্রি করা হচ্ছে ৭৬০ টাকা। এক কার্টন তেল নিতে হলে তার সঙ্গে এক কেজি চা কিনতে হবে। এছাড়া ৫ লিটার বোতলের ফ্রেস তেল নিতে হলে তার সঙ্গে ৩ কেজির আটার প্যাকেট কিনতে হবে। যেখানে আমার তেল দরকার সেখানে আটা নিয়ে কী করব? আর এত আটা এখন বিক্রি সম্ভব না।শহরের জনকল্যাণ মহল্লার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ১০ দিন আগে খোলা সয়াবিন তেল কিনলাম ১৮০ টাকা কেজি। সেই তেল এখন কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। সামনে ঈদ। এ কারণে বাজারে তেলের সংকট হওয়ায় দোকানিরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।নওগাঁ শহরের ডাবপট্টি এলাকার ভোজ্যতেলের ডিলার মেসার্স দুর্গেশ সাহা অ্যান্ড সন্সের মালিক সুমন সাহা বলেন, বর্তমান বাজারে বোতলজাত এবং খোলা দুই ধরনের সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। মিলাররা তেল সরবরাহ না করায় আমরা তেল পাচ্ছি না। এক সপ্তাহ থেকে সরবরাহ কমে গেছে। রমজানের আগে সপ্তাহ তেলের চাহিদা ছিল ৯ হাজার লিটার। রমজান উপলক্ষে চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। এখন দিনে বোতলজাত ও খোলা তেলের চাহিদা প্রায় ১২০০ লিটার। খুচরা বিক্রেতারা এসে তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। শহরের আরও ১২ জন তেলের ডিলার আছে। সবারই একই অবস্থা।নওগাঁ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি জানার পর বাজার পরিদর্শন করা হয়। বোতলজাত তেল ১৬০-১৬২ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দোকানিরা বলছেন, ভোজ্যতেল সরবরাহকারীরা তাদের শর্ত দিচ্ছে তেলের সঙ্গে আটা, চা ও সরিষার তেলসহ অন্য কিছু কিনতে হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

🔝