gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
পার্বত্যাঞ্চলে সম্ভাবনাময় রাবার শিল্প বিকাশে বাঁধা
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২২, ০৪:১৫:২৫ পিএম
জাহিদ হাসান,লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি::
1650968145.jpg
রাবার প্রাকৃতিক উপায়ে সংগৃহীত একটি জৈব পদার্থ। গাছের কষই হচ্ছে রাবার। গাছ থেকে আহরিত কষ যা নিয়মমাফিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘনীভূত হয়ে শক্ত হয়। সেই কষ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক রাবারকে ব্যবহার উপযোগী করে মানুষের বিভিন্ন চাহিদা মেটানো হয়। মূলত এ কষ সংগ্রহ করতে রাবার চাষিদের দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে গাছের কষ সংগ্রহ করতে গাছের সাথে বাটি বেঁধে একটি পাইপ লাগিয়ে (অনেকটা খেজুর গাছ থেকে খেজুর রস তোলার আদলে) সাদা আঠালো কষ রাবার চাষিরা গাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। পরিপক্ক রাবার গাছ হতে নিয়ন্ত্রিত কাটার মাধ্যমে কষ সংগ্রহ করার পদ্ধতিকে টেপিং বলে। রাবার বাগান থেকে এ কষ আহরণই বাগান বনায়ন করার মূল উদ্দেশ্য। সঠিক টেপিংয়ের মাধ্যমে রাবার গাছ হতে সর্বাধিক পরিমাণ কষ আহরণ করা সম্ভব। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে টেপিংয়ের ফলে গাছের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ সমস্ত কারণে সঠিক পদ্ধতিতে টেপিং করে কষ আহরণ করা রাবার উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই টেপিং সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত সকল স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী শ্রমিকদের সতর্ক থেকে সঠিক পদ্ধতিতে কষ আহরণের জন্য দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। গাছের ছাল হচ্ছে রাবারের একমাত্র উৎপাদনশীল অংশ। ছালের ভেতরের অংশে রয়েছে লেটেক্স ভেসেল বা রাবার উৎপাদনকারী কষনালী। এই কষনালীগুলোতেই দুধের মতো সাদা রাবার কষ সঞ্চিত থাকে। টেপিং করার সময় ছালের বাইরের দু’টি স্তর ভেদ করে এই কষনালীর স্তর কেটেই রাবার কষ সংগ্রহ করা হয়।"ব্যায় বহুল দীর্ঘ এই পক্রিয়া বিনিয়োগকারীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। একেকটি রাবার গাছের গোড়া ভিজে যায়, একেকজন উদ্যােক্তার হাজার ফোটা ঘামে। সেই শ্রম বিনিয়োগ, উৎপাদন এর রেশিও যুক্ত হয় আমাদের জাতীয় অর্থনীতির সূচকে। সুতরাং রাবার শিল্পকে বাঁচাতে জাতীয় প্রচেষ্টাও থাকতে হবে।

আরও খবর

🔝