gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বাগেরহাটে ভূমিহীনদের জন্য প্রস্তুত ৬৬২ ঘর
প্রকাশ : সোমবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:৪৫:০১ পিএম
বাগেরহাট প্রতিনিধি: :
1650894318.jpg
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ঈদ উপহার হিসেবে বাগেরহাট জেলায় জমিসহ ঘর পাচ্ছেন ৬৬২ ভূমিহীন পরিবার। এরই মধ্যে ভূমিহীনদের জন্য টিনসেড পাকা ঘর নির্মাণ শেষ করেছে জেলা প্রশাসন।দুই শতাংশ জমিসহ সুদৃশ্য পাকা ঘর অপেক্ষা করছে হতদরিদ্রদের জন্য। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন।বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ভূমিহীন, ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র মানুষদের জমিসহ ঘর দিচ্ছে সরকার।প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ে বাগেরহাট জেলায় মোট ১ হাজার ৯৩ জনকে এই ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬৬২টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৭০টি, মোংলায় ১৪৫টি, মোরেলগঞ্জে ১৮১টি, কচুয়ায় ২৩টি, ফকিরহাটে ৮০টি, মোল্লাহাটে ৭০টি, রামপালে ৬০টি, চিতলমারীতে ২৮টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৫টি ঘর রয়েছে। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যে বরাদ্দকৃত অবশিষ্ট ঘর উপকার ভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।এদিকে ঈদের আগে পাকা ঘরে ওঠার সংবাদে খুশি উপকারভোগীরা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মিত প্রতিটি বাড়িতে দুটি শোবার ঘর, একটা রান্না ঘর, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা শৌচাগার ও একটা বারান্দা রয়েছে। বারান্দার সামনে ফাঁকা জায়গাও রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম, আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা।প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এখানে বসবাসরত পরিবারে সদস্যদের দ্রুত সবধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আশপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণ, খেলার মাঠ, ফুল-ফলের বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। সেই সঙ্গে সুপেয় পানি পাওয়া নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে নলকূপ।বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে বাগেরহাটে ১০৯৩টি ঘর বরাদ্দ ছিল। এরই মধ্যে মধ্যে ৬৬২টি ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী এসব ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। ওইদিনই আমরা উপকারভোগীদেরকে তাদের ঘর বুঝিয়ে দেব। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত অন্য ঘরও ভূমিহীন ও হতদরিদ্রদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আরও খবর

🔝