gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চাল-গম বাবদ ২৩৫ কোটি টাকা পেল খাদ্য মন্ত্রণালয়
প্রকাশ : বুধবার, ২০ এপ্রিল , ২০২২, ০৭:৩১:০১ পিএম
ঢাকা অফিস:
1650461482.jpg
চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ও চলমান ওএমএস কার্যক্রমে অতিরিক্ত ভর্তুকি সংস্থানের জন্য এক লাখ টন চাল ও ২৫ হাজার টন গম বাবদ ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।বুধবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।এর আগে অতিরিক্ত এক লাখ টন চাল ও ৫০ হাজার টন গম বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, চালের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা প্রদানসহ খাদ্যশস্যের মূল্য ভোক্তা সাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে ওএমএস কার্যক্রমে অতিরিক্ত ভর্তুকি সংস্থানের জন্য চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন ‘অপ্রত্যাশিত ব্যয়’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে এক লাখ টন চাল ও ২৫ হাজার টন গম বাবদ ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হলো।বরাদ্দ করা এ অর্থ চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য ভর্তুকি খাতে সমন্বয় করা হবে। তবে এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান ও নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।এর আগে গত ১৮ এপ্রিল অর্থ বিভাগে পাঠানো খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএস খাতে চালের বরাদ্দ রয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার টন। গমের বরাদ্দ রয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টন। ওএমএস কর্মসূচিতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ লাখ ২৫ হাজার টন চাল এবং ৩ লাখ ৭৮ হাজার টন গম বিক্রি করা হয়েছে। চালের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা প্রদানসহ খাদ্যশস্যের মূল্য ভোক্তা সাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের মোট এক হাজার ৯৭৬টি ওএমএস কেন্দ্রে (দোকান/ট্রাকসেল) কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য দৈনিক প্রয়োজন ২ হাজার ৫৬৩ টন চাল এবং ১ হাজার ২৪০ টন গম।বর্তমান অর্থবছরে সরকারি ছুটি ছাড়া এপ্রিল, মে ও জুন মাসে মোট ৫৯ দিনে ওএমএস কার্যক্রমে প্রয়োজন হবে এক লাখ ৫১ হাজার টন চাল এবং ৭৩ হাজার টন গম। এই পরিমাণ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হলে কোন চাল ও গম অবশিষ্ট থাকবে না। এ অবস্থায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএস কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এবং জরুরি বিবেচনায় ন্যূনতম আরও অতিরিক্ত এক লাখ টন চাল এবং ৫০ হাজার টন গম বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। 

আরও খবর

🔝