gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
খরতাপে মাটি ফেটে চৌচির, পুড়ছে ক্ষেতের ধান
প্রকাশ : সোমবার, ২৮ মার্চ , ২০২২, ০৬:১৭:১১ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো ::
1648469854.jpg
চৈত্রের খরতাপে তেঁতে উঠেছে রাজশাহীর অঞ্চল। বাইরে বের হলে চোখ-মুখ যেন পুড়ে যাচ্ছে। মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে এরইমধ্যে। দুর্বিষহ গরম-খরা-অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের বোরো ধান। তীর্যক সূর্যদহনে যেন আগুন ঝরছে পদ্মাপাড়ের সবুজ রাজশাহী। বাতাসেও ছড়াচ্ছে তাপ।ওষ্ঠাগত গরমে হাঁসফাঁস করতে শুরু করেছে এখন রাজশাহীর মানুষ। মৌসুমের প্রথম তাপদাহেই হাঁপিয়ে উঠেছে প্রাণিকূল। এরই মধ্যে লু-হাওয়া বইছে এখানে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে তাপমাত্রা।আবহাওয়াবীদরা বলছেন, রাজশাহীতে এমন পরিস্থিতি সাধারণত বৈশাখে দেখা যায়। কিন্তু এবার চৈত্রের শুরু থেকেই তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। এ সময় সাধারণত ঝড়-ঝঞ্ঝা লেগেই থাকে। কিন্তু রাজশাহী অঞ্চলে এবার বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। খরতাপে বিবর্ণ হয়ে উঠেছে রাজশাহী। বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকের বেরো ধানে সেচ খরচ বাড়ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে আম-লিচুর মুকুল।রাজশাহী আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজশাহীর ওপর দিয়ে গত প্রায় এক সপ্তাহ থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছিল। কিন্তু গত শনিবার থেকে তা মাঝারি তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। রাজশাহীতে রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, রবিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার বেলা তিনটায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বিএআরআই উদ্যানতত্ত্ব ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শরফ উদ্দিন বলেন, বিরাজমান আবহাওয়া আম বা লিচুর জন্য ক্ষতিকর নয়। মার্চ মাসে এ ধরণের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা থাকে। তিনি বলেন এক্ষেত্রে আমের গুটিতে স্প্রে করতে হবে। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ইমিডাক্লোপ্রিড/কার্বারিল গ্রæপের কীটনাশক এবং কার্বেন্ডাজিম গ্রæপের ছত্রাকনাশক একত্রে মিশিয়ে নির্দেশিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে।আমের গুটি ঝরা কমানোর জন্য ২% ইউরিয়া অর্থাৎ প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে। কম তাপমাত্রায় অর্থাৎ সকাল বেলায় স্প্রে করা উত্তম। তিনি বলেন, আম ও লিচু বাগানে সেচ প্রদানে কোন বাধা নেই এবং ১২-১৫ দিন অন্তর অন্তর সেচ প্রদান করতে পারলে ভালোমানের ফলন নিশ্চিত হবে।

আরও খবর

🔝