gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মাগুরায় রাউতড়া ফসলের মাঠে সূর্যমুখীর হাসি
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৫ মার্চ , ২০২২, ০৬:৩৬:২১ পিএম
মাগুরা প্রতিনিধি: :
1648211739.jpg
মাগুরা সদর উপজেলার রাউতড়া গ্রামের কৃষক কারিদুল ইসলাম চলতি মৌসুমে ১০০ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। তার দেখাদেখি ওই অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে আগামীতে এই তেলজাত ফসলের চাষ করার আগ্রহ বেড়েছে।শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাউতড়া ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ফসলের মেঠো পথের দুইধারে সূর্যমুখী ফুলের সমাহার, মৌমাছির গুঞ্জন। চারিদিকে চোখ পড়লে দেখা যায় নির্মল বাতাসে দোল খাওয়া সূর্যমুখীর হাসি।  রাউতড়া গ্রামের কৃষক কারিদুল ইসলাম বলেন, আমন ধান ঘরে তোলার পর বছরের বাকিটা সময় মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকত। বতর্মানে সেই সব জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। গত দুই বছরে সূর্যমুখীর চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন এ অঞ্চলের অনেক কৃষক।  তিনি বলেন, আমি ১০০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। এ চাষে খরচ কম লাভ বেশি। আমি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করেছি। ফলন ভালো পেয়েছি। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে আমি ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।রাউতড়া গ্রামের কৃষক জামাল মল্লিক বলেন, আমার জমির পাশে কারিদুল ভাই তার ১০০ একর জমিতে সূর্যমুর্খী ফুলের চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে এ চাষ শুরু করেছেন। শষ্যের থেকে ফলন বেশি তাই আগামীতে আমিও সূর্যমুখীর চাষ করবো।মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ ফুল থেকে পাওয়া তেলবীজ বাজারে বিক্রি করে গত বছর চাষিরা ধানের চেয়ে দুই-আড়াই গুণ বেশি লাভ পেয়েছেন। যে কারণে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে।রাউতড়া এলাকার কৃষি উপ-সহাকারী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ১০০ একর জমিতে সূয্যমুখী ফুলের ফলন হবে ২০ থেকে ২২ মণ। প্রতিমণ বিক্রি হবে ৪ হাজার টাকা করে। এতে একজন কৃষকের ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকবে। এ ফুল চাষে খরচ কম লাভ বেশি।মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তদর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহামুদ বলেন, ফুল থেকে যে তেল উৎপন্ন হয় তা সম্পূর্ণ কোলেস্টেরলমুক্ত। এ তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করলে মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সূর্যমুখী তেলের অনেক পুষ্টিগুণ। অনেকে এর উপকার সম্পর্কে জানেন না। সর্বস্তরের মানুষকে এ তেল সম্পর্কে জানালে তারা ব্যাপক উপকার পেতেন। এছাড়াও বাজার ব্যবস্থা আরও জোরদার হলে কৃষকের সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়বে। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিও কম। অন্য ফসলের চেয়ে এতে লাভও বেশি।

আরও খবর

🔝