gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বাঘার ইউপি চেয়ারম্যান রাজশাহীতে গ্রেপ্তার
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ , ২০২২, ০৫:৩৭:৪৯ পিএম
রাজশাহী ব্যুরো ::
1648121890.jpg
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বাঘা থানা পুলিশ।মেরাজুল ইসলাম মেরাজ রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বাড়ি ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে। মেরাজের বাবার নাম রাকিব সরকার।বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২১ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাস যোগে মেরাজ রাজশাহী ছাড়ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বাঘা থানা পুলিশ নগীর শিরোইল বাস স্ট্যাড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বাঘা থানার দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।ওসি বলেন, মেরাজ ছাড়াও জুবান মালিথা নামে সাবেক এক কাউন্সিলরেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে কলিগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুবান ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে ঘটনার দিন শাওন নামের একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।গত ২১ মার্চ বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে ‘আক্কাস ভাই, আক্কাস ভাই’ বলে ¯েøাগান দেন। এ সময় আক্কাসকে কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন তাঁর (আক্কাস) লোকজন নিয়ে পেছনে যেতে বলেন। এতে আক্কাস ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কামাল হোসেনের সঙ্গে তুই সম্বোধন করে কথা বলেন। এ সময় আক্কারের মেয়ে এসএম কামালকে লক্ষ করে মোবাইল ছুড়ে মারে।এ সময় কামাল হোসেনও উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে আক্কাসের লোকজন মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। তখন অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বাঘা থানায় বৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।এদিকে, সম্মেলনে হামলার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার সকালে উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে ও কিশোরপুর গ্রামে পৃথক দুইটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা দুইজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আরও দুইটি মামলা হয়।

আরও খবর

🔝