gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
দুর্ঘটনায় সাতদিনে ৮ জন নিহত, আহত ১০

❒ যশোরে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশ : বুধবার, ২৩ মার্চ , ২০২২, ০৯:৩২:৫৫ পিএম
কাগজ সংবাদ :
1648049646.jpg
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল থামছেনা। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। আহত হচ্ছে অনেকে। গত এক সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন ও আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এদিন নিহতরা হলেন, যশোর শহরের ঘোপ   জেল রোড এলাকার আসলাম হোসেনের ছেলে শরীফ হোসেন (২২), মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের আছর আলীর ছেলে তাজ উদ্দীন (৩৮) ও মুন্না হোসেন (২২)। আহতরা হলেন, শহরের পালবাড়ি গাজীর ঘাট এলাকার আসাদুজ্জামানের ছেলে সাকিবুজ্জামান ওরফে মুন্না (২০), শহরতলির শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আবুল হোসেনরে ছেলে জামাল হোসেন (৫৫), সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের উজুউল্লার ছেলে মানিক হোসেন (৪৩), মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের জিয়াউল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন (১৬) ও ইসাহক আলীর ছেলে ইমরান হাসান মিন্টু (৩০)। পুলিশ জানায়, যশোর শহরের মণিহার থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে খুলনায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে যশোর-খুলনা মহাসড়কের দোলনঘাটা পৌঁছালে বিপরীতমুখি সোনা ব্রিকসের একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। ওইসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি পণ্যবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। তখন ঘটনাস্থলেই ভাটা শ্রমিক তাজ উদ্দীন ও মুন্না হোসেন নিহত হন। এ সময় বাসের চার যাত্রী আহত হন। অপর দিকে, ঘোপ জেলরোড এলাকার শরীফ রাজগঞ্জ সড়কের বাগেরহাট বাজারে অবস্থিত তার পিতার ‘আসলাম ব্রিকস’  ভাটা দেখা শোনা করতেন। দুপুরে ভাটা থেকে বন্ধু মুন্নাকে নিয়ে বাড়িতে আসছিলেন। মুন্না মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আর শরীফ পিছনে বসে ছিলেন। পথিমধ্যে পুলেরহাট অদূরে পৌঁছালে মুন্না একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে যায়। ওইসময় ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে তারা দু’জন রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল তিনটার দিকে শরীফের মৃত্যু হয়। ১৭ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় সাকলাইন হোসেন (২০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হন। ওই ঘটনায় মিন্টু (২২) নামে এক রিকশাচালক আহত হন। ওইদিন সকালে শহরের ঢাকা রোড হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাকলাইন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে ও দড়াটানা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আহত রিকশাচালক মিন্টু ঝিকরগাছা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। ২০ মার্চ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও পাঁচ জন আহত হন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরা ভাটার আমতলায় রাস্তা পার হওয়ার সময় মাগুরামুখি একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন রণজিৎ সরকার নামে এক ব্যক্তি। পরে স্থানীয়রা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। একই দিন সকাল ১০ টায় যশোর-খুলনা মহাসড়কের পদ্মবিলায় চায়না প্রকল্পের সামনে সাইফুর রহমান ও মনজেল মজুমদার নামে দু’ব্যক্তি ওভারটেক করার সময় ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জসিম উদ্দিন মৃত ঘোষণা করেন।ওইদিন দুপুরে সদর উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদা কর্মকর্তাদের নিয়ে যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক পরিদর্শনে যান। পথিমধ্যে সাতমাইল বাজারের অদূরে আসলে বিপরীতমুখি যাত্রীবাহী বাসের সাথে তাদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নাজমুল হুদাসহ চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। একইদিন সকাল নয়টার দিকে চাঁচড়ায় দু’ ট্রাকের সংঘর্ষে রাজিব হাসান নামে একজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ২১ মার্চ সকালে যশোরের কেশবপুরে মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় ইঞ্জিনচালিত ভ্যান থেকে পড়ে খায়রুননেছা নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। 

আরও খবর

🔝