gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
কেশবপুরের ৪৪ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ
প্রকাশ : বুধবার, ১৬ মার্চ , ২০২২, ০৯:১৬:০৪ পিএম
মোতাহার হোসাইন, কেশবপুর ব্যুরো:
1647443783.jpg
কেশবপুর উপজেলার গেজেটভুক্ত ৪৪ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ৪০ জন সর্বশেষ যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক অমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুপারিশকৃত। অন্য চারজন দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত দেয়া। তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের ভাতা আসেনি বলে সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।কেশবপুর উপজেলার একশ’ ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা প্রতি মাসে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৬৭ জনের গত ফেব্রুয়ারি মাসের ভাতা ব্যাংকে এসেছে। ৪৪ জনের ফেব্রুয়ারি মাসের ভাতা আসেনি। ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি সর্বশেষ যাচাই বাছাইয়ে ৪১ জনকে অমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং চারজনের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়। ওই ৪১ জনের মধ্যে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলী আনসার বাহিনীর গেজেটভুক্ত (নম্বর-৬০৯) ছিল। পরে ওই ৪৪ জনের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রাক্তন কমান্ডার মোহাম্মদ আলী একাধিক বার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।            বাছাই কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত যেসব মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন তাদের অনেকের ব্যাপারে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে নেতিবাচক নানা তথ্য যায়। অনেক মুক্তিযোদ্ধার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে কেশবপুরে ৪৯ জনকে যাচাইয়ের আওতায় এনে তালিকা দেয়। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নির্দেশনা মোতাবেক যাচাই বাছাই কার্যক্রম শেষে চারজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, ৪১ জন অমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হয়ন এবং চারজনের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়।   কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা মন্ত্রণালয় থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি কেশবপুর সোনালী ব্যাংকে সরবরাহ করে থাকেন। তাদের এমআইএস এর পাসওয়ার্ডও ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে থাকে। তিনিই এ বিষয়ে জানতে পারেন।    এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারেশদের মধ্যে মূল ভাতা বিভাজন হয়ে থাকে। সেই হিসেবে কেশবপুর সোনালী ব্যাংকে একশ’ ৩৩ জনের নামে ফান্ড স্থানান্তর হয়ে থাকে। মূলত একশ’ ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে ভাতা বরাদ্দ আসে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বরাদ্দ আসেনি। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের এমআইএস থেকে ওই ৪৪ জনের নাম প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

আরও খবর

🔝