gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
একদিনে ১৭ লাখ ৬৭ হাজার শনাক্ত, মৃত্যু ৬৫৬৯
প্রকাশ : শুক্রবার, ১১ মার্চ , ২০২২, ০৩:১১:৩২ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
1646991113.jpg
বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৬৪৬ জনে। একইসময়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৫৬৯ জন। ফলে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৪৯১ জনে।শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ২৭ জন। তবে আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখের বেশি।গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৩২ জন এবং মারা গেছেন ২০৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ হাজার ৬৪৬ জন মারা গেছেন।অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ২০৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১১ লাখ ৭ হাজার ৪১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৯১ হাজার ২২০ জন মারা গেছেন।গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫১ হাজার ২৩১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখ ৯১ হাজার ৩০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯১১ জনের।এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৭০ জন এবং মারা গেছেন ১৫৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৯ জন মারা গেছেন।লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৮৬১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৭ জনের।করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৫৬ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭২৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৫ জন।যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ১৩৭ জন এবং মারা গেছেন ১৪২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৬২৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬১৫ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৪৯২ জন এবং মারা গেছেন ১৪০ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ২৩০ জন এবং মারা গেছেন ১৩৬ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৩১১ জন এবং মারা গেছেন ২৭৮ জন।গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮১৮ জন এবং মারা গেছেন ১০৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৮৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮০ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৭৪৭ জন এবং মারা গেছেন ২০৫ জন।এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ১৮৪ জন, আর্জেন্টিনায় ৫৪ জন, ইরানে ১৩৯ জন, রোমানিয়ায় ৬০ জন, মালয়েশিয়ায় ৭০ জন এবং হাঙ্গেরিতে ৫৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২৪৪ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪১০ জনের।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

আরও খবর

🔝