gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
শার্শায় কিশোর চালকের তিন খুনি আটক, ইজিবাইক উদ্ধার
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি , ২০২২, ০৯:৪৩:০৯ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1642693651.jpeg
যশোরের শার্শায় কিশোর ইজিবাইকচালক সোলাইমান সাকিব হত্যায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। একইসাথে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।  আটককৃতরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার চান্দেরপোল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে মনিরুল ইসলাম, বাঘারপাড়া উপজেলার বারভাগ গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিন মোল্লার ছেলে মেহেদী হাসান মিলন ও  চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম প্লাবন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রেজোয়ান জানান, আটক তিনজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরমধ্যে মিলন ও প্লাবন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।পিবিআই যশোরের পুলিশসুপার রেশমা শারমিন জানান, পিতামাতার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের শাকিল হোসেনের ছেলে সাকিব শার্শা উপজেলার গোগা কারিকরপাড়ায় নানার বাড়িতে থাকতো। গত ১৭ জানুয়ারি দুপুর একটার দিকে সে তার নানার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। পরেরদিন ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নানাবাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদের কুল বাগানের পাশের একটি জমি থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার ইজিবাইকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহতের নানা আকবর আলী অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে শার্শা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে পিবিআই মামলাটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় এসআই রেজোয়ানকে। পিবিআই সূত্র জানায়, গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে মনিরুল ও মিলনকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সোয়া সাতটার দিকে চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া বাজার থেকে সাইফুল ইসলাম প্লাবনকে আটক করা হয়। পরে সাইফুল ইসলাম প্লাবনের স্বীকারোক্তিতে চৌগাছা বাজারের ছুটিপুর রোডে নুরুজ্জামান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।পিবিআই পুলিশসুপার রেশমা শারমিন আরও জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সকলে সংঘবদ্ধ ইজিবাইক ছিনতাই ও অজ্ঞানপার্টির সদস্য। ঘটনার দিন গত ১৭ জানুয়ারি দুপুর দুটোর দিকে ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান মিলন, মনিরুল ইসলাম এবং তাদের আরেক সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে বার্মিজ জাহাঙ্গীর ওরফে রাকিব ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এরপর মিলন ও বার্মিজ জাহাঙ্গীর দিনভর ঘোরাঘুরির জন্য বাগআঁচড়ার বাজার থেকে সাকিবের ইজিবাইক এক হাজার টাকায় ভাড়া করে। বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে তারা সাকিবের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চেয়ে নিয়ে সহযোগী মনিরুলের সাথে কথা বলে। পরে মিলন ও বার্মিজ জাহাঙ্গীর কৌশলে সাকিবকে বড়বাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের কুল বাগানের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল মনিরুল। সেখানে যাওয়ার পর কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনজনে মিলে তাদের কাছে থাকা সেলাই রেঞ্জ, এল রেঞ্জ ও বার্মিজ চাকু দিয়ে সাকিবের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এর ফলে ঘটনাস্থলেই সাকিব মারা যায়। পরে তারা সেখান থেকে ইজিবাইকটি নিয়ে চম্পট দেয়। পরে তা ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

আরও খবর

🔝