প্রকাশ : বুধবার, ১৯ জানুয়ারি , ২০২২, ০৮:২২:৫১ পিএম
যশোরে স্ক্যান হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাজমা খাতুন (৩০) নামে এক নারীকে সিজার করতে গিয়ে খাদ্যনালী কেটে ফেলেছেন ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ডাক্তার মাহাফুজা মনির। নাজমা খাতুন বর্তমানে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নাজমা খাতুন মণিরামপুর উপজেলা শহরের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী। তিনি সন্তানসম্ভবা অবস্থায় যশোর শহরের খালধার বরফকলের পাশে একটি ভাড়া বাসায় তার মা আনোয়ারা বেগমের সাথে থাকতেন। ভাই রনি জানান, তার বোন নাজমা খাতুনের প্রসবযন্ত্রণা উঠলে গত ৭ জানুয়ারি সকাল দশটার দিকে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে স্ক্যান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। ভর্তির পরের দিন ৮ জানুয়ারি ডাক্তার মাহাফুজা মনির ও তার সহোযোগীরা নাজমা অবস্থা খারাপ উল্লেখ করে তৎক্ষণাৎ সিজার করাতে বলেন। পরিবার সম্মতি হলে তিনি সাথে সাথে তাকে সিজার করেন। ক্লিনিক থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও স্ক্যান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় নাজমাকে। তখন চিকিৎসক মাহাফুজা মনির বলেন, সাত-আটদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও সুস্থ না হয়ে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন নাজমার পরিবারের চাপে ডাক্তার মাহাফুজা মনির সিজার করার সময় খাদ্যনালী কেটে ফেলেছেন বলে স্বীকার করেন। এ কথা শুনে পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হলে চিকিৎসার সকল খরচ বহন করার কথা বলে নাজমাকে খুলনায় নিতে বলেন। এমনকি খুলনায় নিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াও দেন। পরবর্তীতে চিকিৎসা খরচ দিতে অস্বীকার করছেন ওই ডাক্তার। এ ঘটনায় নাজমা খাতুনের ভাই রনি বাদী হয়ে স্ক্যান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক ডাক্তার মাহাফুজা মনিরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, তার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে, স্ক্যান হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফ হাসান এ ঘটনায় বক্তব্য দিতে রাজি হননি।