gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ডিজিটাল প্রতারণা রুখতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মাঠে

❒ বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ও নারী হয়রানী বন্ধের চেষ্টা

প্রকাশ : শনিবার, ১৫ জানুয়ারি , ২০২২, ০৯:৩৩:৫৩ পিএম
দেওয়ান মোর্শেদ আলম:
1642260904.jpg
ডিজিটাল প্রতারণা রুখতে মাঠে নেমেছে যশোর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য, গুজব, বিকাশ প্রতারণাসহ নারী হয়রানী রোধে কাজ করে চলেছে। ইতিমধ্যে কৌশলী তদন্ত ও অভিযানে ঈর্ষনীয় সাফল্য দেখাতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই চুরি ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার হচ্ছে। ধরা পড়ছে বিকাশ প্রতারণার ফাঁদ। উদ্ধার হচ্ছে টাকা। ফেসবুকে হয়রানীর শিকার লোকজনও সুবিধা পাচ্ছেন এই সেল থেকে।১৫ জানুয়ারি এই সেলের সাফল্য তুলে ধরে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ। আটক উদ্ধার ও নানা সহায়তার তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ৩০টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের ব্যাপারেও মিডিয়াকে জানানো হয়েছে।সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া জিডির তদন্ত কার্যক্রম হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছে সেলটি। গত কয়েকদিনে ৩০টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করেছে। বিকাশ প্রতারণার শিকার ৪ ভুক্তভোগীর ৬০ হাজার ১শ’৫০ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এই ইনভেস্টিগেশন সেল। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হয়রানির শিকার ৪ জনকে সহায়তা দিয়েছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এছাড়া ফেসবুকে উস্কানিমূলক তথ্য সরবরাহসহ বিশৃংখলা সৃষ্টি  করায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। # শুরুতেই আসছে অনেক ঈর্ষনীয় সাফল্য # সোশ্যাল মিডিয়া প্রতারণার তথ্য আহবান # অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হবে১৫ জানুয়ারি দুপুরে জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, সাইবার অপরাধের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে এখন থেকে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান নেয়া হবে। ব্রিফিংয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার জানান, যশোরে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট অল্প কিছু সময় হলো স্থাপন করা হয়েছে। তখন থেকেই এ বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে। কিছু অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে কাজ শুরু করা হয়। হারিয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার হওয়া ৩০টি স্মার্ট মোবাইল ফোন মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসাথে ভুলবশত অন্য বিকাশ নাম্বারে চলে যাওয়া ৬০ হাজার ১শ’৫০ টাকা উদ্ধার করেও তা মালিককে ফেরত দেয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় জেলার বিভিন্ন থানাধীন মোবাইল হারানো সংক্রান্তে ভিকটিমের করা জিডির প্রেক্ষিতে গত মাস ধরে কাজ চলছে।  ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলটি একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার সার্বিক তদারকিতে কাজ করছে। এছাড়া একজন ইন্সপেক্টর, দু’জন সাব ইন্সপেক্টর, দু’জন এএসআই এবং ৪ জন কনস্টেবল নিয়ে একটি টিম সার্বক্ষণিক সেবা গ্রহিতাদের সেবা প্রদান করে চলেছেন।ইনভেস্টিগেশন সেলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য, ছবি আপলোড, গুজব, বিকাশ প্রতরণাসহ সাইবার স্পেসে নারী হয়রানী রোধেও কাজ করে চলেছে। সাইবার স্পেসে যদি কোন নারী প্রতারণা বা হয়রানীর শিকার হন তবে তাদের কাছে জানাতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। বলা হয়েছে, এই সেলের উদ্দেশ্য হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংঘটিত অপরাধের আইনি সহায়তা প্রদান ও এটি ব্যবহারে সর্ব সাধারণকে আরো বেশি সচেতন করা। একই সাথে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।

আরও খবর

🔝