gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
আসামিকে বাড়িতে থেকে করোনা প্রতিরোধে কাজ করার শর্তে মুক্তি
প্রকাশ : বুধবার, ১২ জানুয়ারি , ২০২২, ০৮:০১:০৯ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1641996532.jpg
সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাড়িতে থাকবেন। বাড়িতে থেকে  করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবেন। বুধবার ব্যতিক্রমী এ সাজা প্রদান করেছেন যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস। এদিন তিনি বিভিন্ন শর্তে পৃথক দু’টি মামলায় দু’ আসামিকে সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন। এসব শর্ত মেনে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থেকে বাড়িতেই তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট ভীম সেন দাস।আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একই উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত গোলাম আলী মৃধার ছেলে সিরাজুল ইসলামকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেনাপোল সার্কেলের সদস্যরা। ওইসময় তার কাছ থেকে তিন গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার রায়ে আদালত সিরাজুলকে ১১ শর্তে দু’ বছরের প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে। তার শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, করোনাকালীন তাকে জনসচেতনাতা সৃষ্টি ও  মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এছাড়া নিজ বসতবাড়ির আঙিনায় তিনটি তালগাছ ও দু’টি নারকেল গাছ লাগাতে হবে তাকে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখতে হবে। নিজ এলাকার একজন প্রতিবন্ধীকে পরিচর্যা ও আহার করাতে হবে। অন্যদিকে, ২০১২ সালের ৮ আগস্ট চৌগাছা উপজেলার ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফিরোজ হুসাইনকে আটক করে পুলিশ। ওইসময় তার কাছ থেকে দু’ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চৌগাছা থানার এসআই মাহামুদুর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত ১১ শর্তে দু’ বছরের সাজা দিয়ে তাকে প্রবেশনে মুক্তি দেন। শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাতটি চলচ্চিত্র দেখতে হবে। প্রতিমাসে দু’জন হতদরিদ্রকে দুপুরে আহার করাতে হবে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ও সেবা গ্রহণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঁচটি বই পড়তে হবে। ১১ জন নিরক্ষর ব্যক্তিকে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে হবে।

আরও খবর

🔝