gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
আমাদের রাজপথে স্থায়ীভাবে থাকতে হবে : রিজভী
প্রকাশ : রবিবার, ১৪ নভেম্বর , ২০২১, ০৩:৩৯:৩৪ পিএম
কাগজ ডেস্ক ::
1636882804.jpg
আওয়ামী লীগ 'ভয়ংকর এক নীলনকশা' নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, এমন মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'সেই নীলনকশা ব্যর্থ করে দিতে হলে আমাদেরকে রাজপথে স্থায়ীভাবে বাড়িঘর তৈরি করে থাকতে হবে।'রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, 'আপনার গণতন্ত্রের দরকার নাই, ভোটের দরকার নাই, নির্বাচনের দরকার নাই। এখন জমিদারের শাসন কায়েম করতে চান। এটা বাংলাদেশ কোনোদিন হতে দেবে না। বাংলাদেশ কোনো স্বৈরশাসকে বেশি দিন টলারেট করেনি। আপনার সরকার পতনের সাইরেন বাজছে। চারিদিকে ঘণ্টা বাজছে।'তিনি বলেন, 'শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সার্কুলার দেখলাম- স্কুল এবং প্রাইমারি স্কুলে যারা ভর্তি হবে তাদেরকে শপথ নিতে হবে শেখ রাসেলের নামে, বঙ্গবন্ধুর নামে। আমরা পঁচাত্তরের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। কিন্তু আপনার পরিবার একটি রাজনৈতিক দলে বিশ্বাস করে, তাদের নামে আমাদের কোমলমতি ছাত্র শপথ নেবে কেন? শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারের একটি বিভাগ, তারা এরকম সার্কুলার দেবে কেন? এর উদ্দেশ্যটা কী?'শনিবার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে।রিজভী বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এই মুক্তির জন্য আপনাদেরকে (নেতাকর্মীদের) শপথ নিতে হবে যে, আমরা রাজপথে আছি। রাজপথই আমাদের ঠিকানা। তা না হলে কেউ বাঁচতে পারব না।'আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, আকরামুল হাসান মিন্টু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুল হক খোকন,সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরও খবর

🔝