gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
প্রসঙ্গ: জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দায়িত্ব কে নেবে?
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর , ২০২১, ০৮:২০:৪৭ পিএম
:
1633708466.jpg
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে স্কটল্যান্ড সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টে আয়োজিত ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দায়িত্ব কাদের উপর বর্তাবে না নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। যে ভাষণটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় বাস্তুচ্যুত হওয়া জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব বিশ্বকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সঠিকভাবে সমাধান করতে হবে।’জলবায়ু সঙ্কটে বাস্তু হারিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে যাদের অভিবাসী হতে হচ্ছে, তাদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৬০ লাখ মানুষ জলবায়ু সঙ্কটে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অতিরিক্ত আরো ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভার বইতে হচ্ছে। এ সমস্যার মোকাবেল করা আরও কঠিন করে তুলেছে কোভিড-১৯ মহামারী।স্কটিশ পার্লামেন্টে কমিটি কক্ষে এ আয়োজনে ‘আ বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শেখ হাসিনা। স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছালে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন এ সময়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভালনারেবল২০ (ভি২০) সভাপতি শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেন, কার্যকর ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নই হতে পারে সমৃদ্ধি অর্জনের চাবিকাঠি। এমসিপিপি (মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান) সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ তিনি তুলে ধরেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলেকে অবশ্যই নির্গমন কমিয়ে আনার ব্যাপকভিত্তিক জাতীয় পরিকল্পনা (এনডিসি) ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রশমনের ব্যাপক উদ্যোগ ছাড়া, শুধুমাত্র অভিযোজনের চেষ্টা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বিলম্বিত করা, ঠেকানো বা পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে এক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই অর্থায়ন হতে হবে বিদ্যমান উন্নয়ন সহায়তার অতিরিক্ত। বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলের মধ্যে সমন্বয় রাখার ওপরও জোর দেন শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার যে অঙ্গীকার উন্নত দেশগুলো দিয়েছে, তাদের তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। 

আরও খবর

🔝