প্রকাশ : বুধবার, ৩ নভেম্বর , ২০২১, ০৬:২৮:০০ পিএম
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। একইসঙ্গে বাদিপক্ষের নারাজির আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। মামলাটি ফের অধিকতর তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।বুধবার (৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, আদালত আমাদের নারাজি আবেদন খারিজ করেছেন। একই সঙ্গে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো।জানা গেছে, মিতু হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়। প্রথম মামলার বাদি তার স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাদি বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই মামলায় গত ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।ওইদিনই পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাবুল আক্তারকে। তিনি সে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।এদিকে প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত ১৪ অক্টোবর নারাজি আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী।২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তখন পদোন্নতি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিতে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন বাবুল আক্তার। হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। সেই সময় দুই আসামি ক্রস ফায়ার নিহতের পাশাপাশি বেশ কজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন।পরে আদালতের আদেশে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভার নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। এর পরদিন ১২ মে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।ঢাকায় ওই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই চট্টগ্রামে বাবুলের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় সেদিন জমা দিয়েছিলেন পিবিআইর পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সন্তোষ কুমার চাকমা। এরপর ওইদিনই পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন একটি হত্যা মামলা করেন। যাতে বাবুলকে প্রধান আসামিসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়। বাবুল সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।