gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চাঁদাবাজি অস্ত্রের মহড়া নয়, জানমাল রক্ষায় কাজ করতে হবে

❒ যশোরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র সমাবেশ

প্রকাশ : শনিবার, ৩০ অক্টোবর , ২০২১, ০৯:৪৯:১৩ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
1635609040.jpg
যশোরে জেলা পুলিশ আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডের সমাবেশে বলা হয়েছে, যশোরে চাঁদাবাজি চাকু মারামারি চলবে না। অস্ত্রের সাথে থাকবেন, মাদকের সাথে থাকবেন, এটা যশোরে চলবে না। সামনে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে কোনো অস্ত্রের মহড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা চলবে না। অস্ত্রবাজ সস্ত্রাসীদের কোনো স্থান যশোরে হবে না। সমাবেশে মাদক, সন্ত্রাস অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা রাখার আহবান জানানো হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রবাজদের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষা, মাদক ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ, সর্বোপরি সার্বিক আইন শৃংখলার আরও উন্নয়নের ব্যাপারে পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতি মাদক ও মানুষের উপর কোনো প্রকার নির্যাতনে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিজের এলাকা পাড়া মহল্লা মাদক সন্ত্রাস অস্ত্র মুক্ত রাখতে পুলিশের সাথে পার্টনারশিপের মত কাজ করতে হবে কমিউনিটির মানুষকে। ৩০ অক্টোবর  সকাল সাড়ে ১০ টায় যশোর পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত পুলিশিং ডের সামাবেশে অতিথি ও পুলিশ কর্মকর্তাগণ এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।  সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। অতিথির বক্তব্য দেন যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। কমিউনিটি পুলিশিং ডে ও আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদার বিপিএম পিপিএম বার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেসমা শারমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোরের পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, যশোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুন্ডু প্রমূখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম যশোর জেলা শাখার সদস্য সচিব ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজের অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।  সমাবেশে আলোচনায় বলা হয়, পুলিশি সেবা মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ধারনা কাজে লাগিয়ে রাজধানীসহ দেশের সব জেলা উপজেলা পৌরসভা এমনকি, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটির লোকজনকে সাথে নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সমন্বিত কাজ চলছে। ‘জনতাই পুলিশ পুলিশই জনতা’ জনবান্ধব এই ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নানা ভাল অর্জন এসেছে। এরপর একজন পুলিশ অফিসারকে নিযুক্ত করে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজকের মুক্তিযুদ্ধে চেতনার মূল্যবোধের পুলিশ। এরপরও পুলিশ ভুলত্রুটির উর্ধেŸ নয়। সরকারের সাথে আলোচনা করে আইজিপি পুলিশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। পুলিশ দুর্নীতিতে জড়িত হতে পারবে না, মাদকের সাথে জড়াতে পারবে না। পুলিশ নির্যাতনে জড়াতে পারবে না। কেনো নাগরিক পুলিশ কর্তৃক হয়ারানীর শিকার হবে না। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষকে সেবা দিতে একজন সাব ইন্সপেক্টরকে দেয়া হয়েছে ইউনিয়ন বিটে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে নিয়ে ঘটনা মিমাংসা করবে। পাবলিককে কষ্ট করে থানা বা এসপি অফিসে যেতে হবে না। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হয়। তাই সেবা পুলিশের মুলনীতি হতে হবে। থানায় জিডি করতে মামলা করতে কোনো টাকা লাগবে না। যদি কেউ টাকা নেয়, খরাপ আচরণ করেন সে ব্যাপারে পুুলিশ সুপারকে জানাতে বলা হয়। এ ব্যাপারে তিনি কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়। চাকরি নয় সেবাব্রত নিয়েই কাজ করতে হবে। হুঁশিয়ারি দেয়া হয় যশোরের কেউ নেতিবাচক কাজে থাকবে না। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করা কিংবা গুজব ছড়িয়ে হানাহানি পুলিশ কিংবা সরকার কেউই বরদাস্ত করবে না। সমাবেশে আলোচনার আগে কমিউনিটি ডে উপলক্ষ্যে একটি বনার্ঢ্য র‌্যালী বের হয়।

আরও খবর

🔝