gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্লোবালের সিইও শ্রী ঘরে
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর , ২০২১, ০৪:৫৬:৪০ পিএম
রাজশাহী ব্যুরো ::
1635245955.jpg
রাজশাহীতে গ্রাহকের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতকারী গ্লোবাল গ্রুপের সিইও সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।জানা গেছে, রাজশাহীতে ৭ জন গ্রাহকের ৩৬ লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্লোবাল  গেইন গ্রুপে’র সিইও সাইফুল ইসলামেকে ১ নং আসামী করে ও অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগি এক গ্রাহক জাহাঙ্গীর আলম। সোমবার সেই মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয় সাইফুলকে।এর আগে, গত রোবাবর (২৪ অক্টোবর) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুল ইসলামকে রাজশাহী নগরীর বিন্দু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের দুই তলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেয় গ্রাহকরা।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপ’ নামের এই প্রতিষ্ঠানের রাজশাহী অফিস ছিল নগরীর উপশহর নূর মসজিদ এলাকায়। তবে মাত্র দুই মাস অফিস চলার পরে বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্রটি। তবে এরই মধ্যে গ্রাহকদের কাছে থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি।‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের কয়েকজন গ্রাহক জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি করোনার মধ্যে মার্কেটে আসে। পরে তারা অধিক মুনাফা দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছে থেকে টাকা সংগ্রহ করে। গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের টাকা রাখলে প্রতিদিন ২০০ করে টাকা পাওয়া যাবে এমন অফার দিয়ে তারা গ্রাহকদের কাছে টাকা নেয়।এছাড়াও গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের বিভিন্ন পণ্য আছে। যেগুলো গ্রহকদের কাছে বিক্রি করা হয়। দাম হিসেবে লাভের টাকা থেকে কেটে নেওয়ার কথা ছিল। তবে রাজশাহীতে অল্প কিছুদিন নিয়মিত থাকার পরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।রাজশাহী নগরীর মোন্নাফের মোড় এলাকার ‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপে’র গ্রাহক সিরাজ জানান, ‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের রাজশাহীতে অফিস ছিল। তবে এখন বন্ধ। বিভিন্নভাবে গ্রাহকদের থেকে বিভিন্ন সময়ে এ চক্রটি নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে।’আরেক ভুক্তভোগি ফারুক হোসেন। তিনি দিয়েছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন সময়ে নিজের ও আত্মীয়ের টাকা দিয়েছেন এই গ্রাহক।তিনি জানান, করোনার সময়ে তাকে বোঝানো হয়েছিল তাঁর টাকা তারই থাকবে মাঝক্ষণে মুনাফা পাবে। এমন প্রলোভেনে ফারুক নিজের, তার মেজ ভাই মামুন হোসেন ও শ্বাশুড়ীর টাকা দেন এই প্রতারকদের।ফারুক জানান, ‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের একটি আইডি ছিল। যে আইডিতে আমাদের টাকা আসতো। কিন্তু আইডির নিয়ন্ত্রণ ছিল ‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের হাতে। তারা চাইলে টাকা তোলা যেত, না চাইলে টাকা তোলা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকবার যোগাযোগ করে বেশ কয়েক দফায় ১২ হাজার টাকা তুলেছি।’তিনি আরো জানান, ‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের প্রতিনিধিরা তাকে বলে ছিল ৫০ হাজার টাকা রাখলে প্রতিদিন তিনি ২০০ টাকা পাবে। এই ২০০ টাকার মধ্যে ২০ টাকা কেটে রাখা হবে- নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস (সাবান, চাল, ডাল, কাপড় ইত্যাদি) কেনা-কাটা বাবদ। তবে শুধু টাকার ম্যাসেজ আসে। কিন্তু টাকা তোলা যায় না।’গ্রহকরা বলছেন, শুধু ফারুক, সিরাজ, আরিফুলই নয় এমন শত শত গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছে ‘গ্লোবাল  গেইন গ্রুপের কাছে। অনেকেই হারিয়েছেন শেষ সম্বলটুকুও। তাদের দাবি, টাকাগুলো ফিরে পাওয়া।বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্রবর্মন জানান, প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে  গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার গ্রাহক জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে প্রতারক সাইফুল ইসলামকে ১ নং আসামী করে ও অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আরও খবর

🔝