gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফিলিপাইনের কালো জাতের গ্যান্ডারি আখ চাষে সফলতা
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৭ আগস্ট , ২০২১, ০৯:০৮:১৩ পিএম
টিপু সুলতান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
1630077090.jpg
দেখতে কালো খয়েরি। লম্বায় হয় সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ ফুট। দেশি আখের মতো হলেও রয়েছে বেশ ভিন্নতা। এ আখের কান্ড নরম, রস বেশি, মিষ্টি বেশি, চাষের পর লাভ বেশি হয়ে থাকে। এসব কথা ভেবেই অনেক চেষ্টার পর ফিলিপাইনের কালো জাতের গ্যান্ডারি আখ চাষ করেছেন কাগমারি গ্রামের হারুনুর রশিদ। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের বাগান করেছেন। অবশেষে ঝুঁকেছেন ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষ করতে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এ জাতের আখ চাষ করে মোটা অংকের টাকা লাভ করা সম্ভব।ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষ করেছেন নিজের জমিতে। পরীক্ষামূলক চাষ করে তিনি সফলতা পেয়েছেন। আগামী বছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করবেন বলে জানান। প্রায় এক বছর আগে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি আফিসার জুবায়ের হোসেনের মাধ্যমে তিনি আখের চারা সংগ্রহ করেন। চাষের পর এখন তার ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে ফিলিপাইনের কালো আখ। এলাকার কৃষক ও উৎসুক মানুষ প্রতিদিন দেখতে ভীড় করছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, ফিলিপাইনের কালো জাতের এ আখ প্রায় সাত থেকে আট ফুট লম্বা হয়েছে। আখগুলো সাধারণভাবে দেখতে দেশিয় আখের মতো হলেও রয়েছে ভিন্নতা। এ আখ পরিপক্ক হতে ১০-১১ মাস সময় লাগে। গোড়া থেকে পুরো কান্ডই মোটা ও নরম। আঙ্গুলের একটু চাপ দিলে রস পাওয়া যায়। রস যেমন রয়েছে, তেমনি মিষ্টিও বেশি। তিনি জৈব সার দিয়ে আখ চাষ করেছেন। প্রথমদিকে তিনি ধারণা করছিলেন, এ আখ চাষে তিনি সফলতা পাবেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে অন্য জাতের আখ চাষ বেশি হয়। দেশি জাতের সেই আখের ভালো ফলন পেয়ে থাকে এলাকার কৃষকরা। এদিকে মোবারকগঞ্জ ও দর্শনা দুটি চিনিকল রয়েছে। কৃষকরা চিনিকল থেকে যে জাতের আখের বীজ দিয়ে থাকে সে জাতের বীজের আখ রোপণ করে থাকে। কিন্তু হারুনুর রশিদের এই ফিলিপাইনের কালো জাতের গ্যান্ডারি আখ ভিন্ন জাতের। এ জাতের আখ ঝিনাইদহ জেলায় এই প্রথম চাষ হচ্ছে কাগমারি এলাকায়। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া গেলেও আখটি দেশে সারা বছরই চাষ করা যায়। প্রায় ১০ থেকে ১১ মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে। তিনি প্রায় ৫ মাস আগে এ আখ রোপণ করেছেন। বুঝতে না পারার কারণে এবছর একটু দেরি করে রোপণ করেছেন। আগামি সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবার নতুন করে এ জাতের আখ রোপণ করবেন। আগামী ২ মাস পর আখের গ্রোথ বৃদ্ধি পাবে ও খাওয়া যাবে এবং প্রতিটি আখ পাইকারি দরে ১০০ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। এ আখ চাষ করতে জৈব সার ও পটাশ মিশ্রিত করে বেশি প্রয়োগ করতে হয়। ফলে রাসায়নিক সারের তেমন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রায় ৩ বার জৈব সার ক্ষেতে প্রয়োগ করতে হয়। তাতে করে আখ মিষ্টি বেশি হয়। রাসায়নিক সার দিলে এ আখ মিষ্টিকম হয়। 

আরও খবর

🔝