gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফাঁড়ি ইনচার্জ কাউছার বললেন চোর খুঁজতে আয়না চালক দেন

❒ চাঁদপাড়ায় কৃষকের ৩ গরু চুরি

প্রকাশ : বুধবার, ২৫ আগস্ট , ২০২১, ০৮:১৮:৫০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1629906418.jpg
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যশোরের চাঁদপাড়ায় এক কৃষকের ৩টি গরু চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশি সহায়তা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী বাদী। অভিযুক্ত মাহমুদুল হক সাগর চক্র অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন, দিচ্ছেন হত্যার হুমকিও।আর ওদিকে তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কাউছার চোর শনাক্ত কিংবা গরু উদ্ধারের চেষ্টা না করে ভুক্তভোগীকে বলেছেন, আয়না চালক দিয়ে চোর ধরে ফেলেন। তার এ ধরনের কথা বার্তায় চরম হতাশা ও উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে ওই দরিদ্র কৃষকের। থানায় দেয়া অভিযোগ ও জিডি থেকে তথ্য মিলেছে, যশোর সদর উপজেলার পশ্চিম চাঁদপাড়ার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে হায়দার হোসেন মোল্লা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ২৪ মে রাত ১১ টা থেকে ২৫ মে ভোর ৩ টার মধ্যে সংঘবদ্ধরা হায়দার আলীর ৩টি গরু চুরি করে। একটি এড়ে ও দুটি গাভীন বকনা গরু। ৩টি গরুর মূল্য দুই লাখ টাকা। ঘোয়াল ঘরের চাটাইয়ের দরজা ভেঙে গরু তিনটি নিয়ে যায়। হায়দার আলী থানায় দেয়া অভিযোগে বলেছেন, তার সাথে জমি জমা নিয়ে প্রতিবেশি গোলাম মোল্লার ছেলে সাগরের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সাগর ও তার সহযোগীরা এই চুরি সংঘটিত করেছে। এই অভিযোগ থানায় করায় ফুঁসে ওঠে ওই চক্রটি। গোলাম নবীর ছেলে মাহমুদুল হাসান সাগর, মোসলেম মোল্লার ছেলে পলাশ, আলতাফ মোল্লার ছেলে মোসলেম মোল্লা, গোলাম মোল্লা, গোলাম মোল্লার ছেলে আসাদুল, রিফাত ও মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে লিটন হত্যার হুমকি দেয় কৃষক হায়দার হোসেনকে বলে অবিযোগে প্রকাশ। এছাড়া তারা হায়দার হোসেনের বড় ধরণের ক্ষতিকরাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে সায়েস্তা করবে বলেও প্রচার করে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেন হায়দার হোসেন। হায়দার আলী অভিযোগ করেন, সাগর চক্রই তার গরু চুরি করেছে বা চুরিতে সহায়তা করেছে। তাদের  আটক করে রিমান্ডে আনলেই গরু ৩টি উদ্ধার হতে পারে। তিনি দরিদ্র কৃষক। ওই ৩ টি গরু তার সম্বল ছিল। তাকে পথে বসাতেই এমনটি করা হয়েছে। তার চাষবাস সব শেষ হয়ে যাচ্ছে ওই গরু চুরিতে। এ ব্যাপারে তিনি কয়েক দফা তদন্ত কর্মকর্তা ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই কাউছারের কাছে গেলেও তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি। যে সাগরকে সন্দেহ করা হচ্ছে তাকে জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করেননি এসআই কাউছার। উল্টো কৃষক হায়দার আলীকে বলেছেন, ফকিরের কাছে দিয়ে আয়না চালক দেন গরু চোর ধরতে, গরু উদ্ধার করতে। মরার উপর খাড়ার ঘা দেয়ার মত আচরণ করেছেন এসআই কাউছার। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সহায়তা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া হলে এসআই কাউছার জানিয়েছেন, তিনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। তবে গরু উদ্ধার কিংবা চোর শনাক্ত করতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হায়দার আলীকে তার কাছে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি আরো জানান, অভিযোগ করলেই হবেনা, ওই অভিযোগে অভিযুক্ত কারো নাম নেই। ক্লুলেস চুরির ঘটনা তদন্তে সময় লাগবে। এ ব্যাপারে তিনি যতœসহাকারে কাজ করবেন। 

আরও খবর

🔝