gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
সুপারভাইজারদের মশক নিধনে দায়িত্ব নিতে হবে : আতিক
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট , ২০২১, ০৪:৪৩:০০ পিএম
ঢাকা অীফস ::
1629803596.jpg
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশক নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিযুক্ত স্ব স্ব সুপারভাইজারকে দায়িত্ব নিতে হবে।মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানস্থ নগর ভবনে সুপারভাইজারদের এক প্রশিক্ষণে এমনই নির্দেশনা দেন তিনি।এসময় সুপারভাইজারদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, নগর ভবন থেকে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে নিজেদের ওয়ার্ডে মশক নিধন করতে হবে। সেখানকার মশক কর্মীদের দিয়ে কাজ সম্পাদন করতে হবে। কে কে ফাঁকি দিচ্ছে, কার কী কাজ, কোথাও ফগিং হচ্ছে কি-না, এসব ব্যাপারে মশক কর্মীকে তদারকি করবেন সুপারভাইজাররা।  কাউন্সিলররা সুপারভাইজারদের মনিটরিং করবেন উল্লেখ করে সুপারভাইজারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কখন, কোথায়, কীভাবে স্প্রে করতে হবে- আজকে না শেখা পর্যন্ত কেউ বের হবেন না। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আগামী ২ তারিখ থেকে প্রত্যেক অঞ্চলে মশক কর্মীদের শেখাতে হবে।  সুপারভাইজারদের সতর্ক করে আতিক বলেন, এখানে তিন ধরনের সুপারভাইজার আছেন। আমাদের সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত, মশক নিবারণ অধিদফতর থেকে এবং আউটসোর্সিং থেকে আসা সুপারভাইজার। আগে কী করেছেন, না করেছেন ভুলে যান। মশাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সেটা আজ থেকেই শুরু করতে চাই। ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করতে হবে, আগে ২ ঘণ্টা না ৩ ঘণ্টা ডিউটি করেছেন, ভুলে যান। নিজের পুরো ওয়ার্ডকে সুপারভাইজারদের মুখস্থ করতে হবে।  প্রতিটি অঞ্চলে মশক নিধন কার্যক্রম পর্যালোচনায় একজন করে কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা কাজ শুরু করেনি- এমন প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, তারা আমার ইন্টেলিজেন্স হিসেবে কাজ করবে। আমরা একটা সিস্টেম ডেভেলপ করছি। তারা হঠাৎ করে কোথাও গিয়ে দেখবে যে কাজ হচ্ছে কি-না। তারা কিন্তু ঝোপে ঝাড়ে গিয়ে হটস্পট খুঁজবেন না। তারা আমাদের জন্য ভিজিলেন্স করবেন।  মশক নিধনে কর্মীদের গাফিলতি আছে স্বীকার করে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।মেয়র বলেন, আমাদের কর্মীদের মধ্যে ভুল-অনিয়ম আছে, এটা স্বীকার করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে, আগে যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে এখন থেকে কাজ করতে হবে। নইলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মশক কর্মীরা বায়োমেট্রিক হাজিরাতে অভ্যস্ত নয়। তাদের ৩০ বছরের অভ্যাস এটা। তারা কাজে না এসেই হাজিরা পেয়ে যায়। এখন আমরা অফিসে অফিসে বায়োমেট্রিক দিয়েছি, ভবিষ্যতে প্রটোকল বায়োমেট্রিক দেওয়া হবে।  অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশল কমকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

🔝