gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
এসআই সাইফুলের বিরুদ্ধে সংবাদে তোলপাড়, তদন্তে এডিশনাল এসপি

❒ ধর্ষণে অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে নারীকে গালিগালাজ

প্রকাশ : বুধবার, ১৮ আগস্ট , ২০২১, ০৯:০৭:৩৯ পিএম
অভিজিৎ ব্যানার্জী:
1629300187.jpg
একটি ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত যুবকের পক্ষ নিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে গালিগালাজ করাসহ মামলা তুলে নেয়ার চাপ সৃষ্টি সংক্রান্তে এসআই সাইফুল মালেকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছেন একজন এডিশনাল এসপি। এছাড়া ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা পুলিশের উর্ধŸতনদের সাথেও কথা বলেছেন। বুধবার ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন এডিশনাল এসপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ওই শীর্ষ নেতা। এদিকে অভিযুক্ত দারোগার বিরুদ্ধে আসছে আরো তথ্য।মামলা সূত্রে তথ্য মিলেছে, বাহাদুরপুর ক্লাবপাড়ার নবম শ্রেণি পড়–য়া এক মেয়েকে ধর্ষণ করে তালবাড়িয়া কুতুবপুরের ওলিয়ার রহমানের ছেলে ড্রাইভার রাসেল হোসেন রাকিব। মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ২৭ জুন রাকিব ওই ছাত্রীর বাহাদুরপুরের বাড়িতে এসে ওই ঘটনা ঘটায়। ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাড়িতে ফিরে সব ঘটনা শুনে নিকটজনদের জানিয়ে ২৮ জুন সকালে মামলা দেন। মামলা নাম্বার ১০৮। মামলাটি তদন্তের জন্য কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম উপশহর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই স্ইাফুল মালেককে দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্তভার নেয়ার পর থেকেই অভিযোগ আসতে থাকে তিনি তদন্তের নামে অভিযুক্ত পক্ষ নিচ্ছেন। জেলে থাকা রাকিবের বাবার সাথে সখ্যতা করে উল্টো তালবাহানা করছেন। ১৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে টার দিকে এসআই সাইফুল মালেক যান বাহাদুরপুরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে। এসময় তিনি ভিকটিমকে অকথ্য গালিগালাজ করেন। এসময় পাশের কয়েক মহিলা এগিয়ে আসলে তিনি তাদের সাথেও অসদাচরণ করে তাড়িয়ে দেন। পুলিশের আচরণ এমন এ নিয়ে ঘটনাস্থল পাড়ার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এনিয়ে পত্রিকা দপ্তরে এসে এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে তার ব্যাপারে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এনিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ১৭ আগস্ট দৈনিক গ্রামের কাগজে একটি বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশিত হয় এসআই সাইফুল মালেকের বিরুদ্ধে। ওই সংবাদে তোলপাড় শুরু হয়েছে।  পুলিশের উর্দ্ধতনদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের দিন ১৭ আগস্ট দুপুরে একটি গোয়েন্দা ইউনিটের দুজন অফিসার বাহাদুরপুরে ভিকটিমের বাড়িতে যান। তারা নির্ভয়ে সাইফুল মালেকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বলেন। তাদের কাছে সাইফুল মালেকের বিরুদ্ধে তথ্য দেন ভুক্তভোগী ও প্রতিবেশিরা। এরপর ১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে যশোর জেলা পুলিশের একজন এডিশনাল এসপি ওই ভুক্তভোগী ও সাইফুল মালেকের অসদাচরণের শিকার লোকজনের সাথে কথা বলেন। এসময় অন্য একটি পরিবারের লোকজনও সাইফুল মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাদের বাড়ি যশোরের পাঁচবাড়িয়া বালিয়াডাঙ্গায়। এসআই সাইফুল মালেক ওই পরিবারের এক বৃদ্ধের সাথেও খারাপ আচরণ করেন আসামি পক্ষ নিয়ে। ধর্ষণের শিকার ও সাইফুল মালেকের অসদাচারনের শিকার ছাত্রীর মামা জানিয়েছেন, ধর্ষক পরিবার ধনী। তাই তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল তাদের পক্ষে রয়েছেন। তবে গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর একটু সাহস পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাগন খোঁজ খবর নিচ্ছেন। দ্রুতই সাইফুল মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে তার বিশ^াস। তিনি আরও জানান, ১৭ আগস্ট একটি গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা তাদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছেন। ১৮ আগস্ট যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল পৃথকভাবে এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলেছেন। তবে এই তদন্তের ব্যাপারে এডিশনাল এসপি বেলাল হোসাইনের সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে দু’বার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।

আরও খবর

🔝