প্রকাশ : বুধবার, ১৮ আগস্ট , ২০২১, ০৮:৩৩:৩৭ পিএম
গত ১১ আগস্ট দেশ ব্যাপী চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর যশোরে সংক্রমণের হার কম থাকলেও মৃত্যু কমছে না। লকডাউন শিথিল হওয়ায় ১৫ দিন আগেও মানুষের মধ্যে যে ভীতি ছিল, তা অনেকটাই কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে উদাসীনতা। আর এ উদাসীনতার ফল মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার শহরের বিভিন্ন সড়ক, মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে অনেক মানুষ কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। গণপরিবহনগুলোর যাত্রীদের বেশিরভাগ যথাযথভাবে মাস্ক পরছে না। হাত ধোয়া ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রতিও ভ্রুক্ষেপ নেই অনেকের। বাজার এবং শপিং কমপ্লেক্সে ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, বিক্রেতাদেরও নেই কোনো বাড়তি ব্যবস্থা। করোনা সংক্রমণ রোধে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যে নজরদারি ছিল, সেটিও এখন একেবারই অনুপস্থিত। সার্বিক চিত্রে মনে হচ্ছে দেশ থেকে করোনা চলে গেছে! যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১৭ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে আজ ১৮ আগস্ট সকাল ৮ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৮৭ জনের। এদিকে, যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আরিফ আহমেদ জানান, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গের রোগী চিকিৎসাধীন আছেন ৯৫ জন। এর মধ্যে রেডজোনে ৭০ জন এবং ইয়েলোজোনে ২৫ জন আছেন। এছাড়াও জনতা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১২ জন। বর্তমানে ভারত ফেরত করোনা রোগী আছেন সাতজন। খালি থাকছে না যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ শয্যা।শুরুতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল প্রবল। এখন সেটা কেটে গেছে। কমেছে সজাগ থাকার মাত্রাও। সর্বত্র গা ছাড়া ভাব। অথচ করোনার সংক্রমণ কমাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে আগামীতে ফের বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।