gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
মধুখালীতে অপেক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো

❒ এ্যাসাইনমেন্ট নির্ভর শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : বুধবার, ১৮ আগস্ট , ২০২১, ০৪:৫৮:১১ পিএম
শাহজাহান হেলাল, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ::
1629287511.jpg
এ্যাসাইনমেন্ট নির্ভর শিক্ষার্থীরা  ক্লাস বন্ধ মাঠে  সবুজের সমারহ  অপেক্ষায়  প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের। ফরিদপুরের মধুখালীতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন এবং নিচ্ছেন শিক্ষকরা। পড়াশোনা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারা। করোনাকালে এ্যাসাইনমেন্টের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল শিক্ষার্থীরা। করোনার সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে গ্রামের শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে ক্লাস চলছে। তবে বাাস্তবতা হচ্ছে গ্রামের শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগেরই নেই কোনো স্মার্টফোন বা কম্পিউটার। এসব কারণে পাঠ কার্যক্রম থেকে ছিটকে পড়ছে অনেক শিশু। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ার খোঁজখবর নিচ্ছেন শিক্ষকরা। অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। এই অনলাইন ক্লাসের আওতায় যেসব গ্রাম পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারে না তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন তাঁরা। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে।মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক দীপঙ্কর পাল একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ছে অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব। সংসদ বাংলাদেশ টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস। প্রযুক্তিগত নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও গ্রামগঞ্জের শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। অনেকে নতুন করে শিখছেন প্রযুক্তির ব্যবহার। মধুখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো ঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। অনলাইনে ক্লাসের পাশাপাশি নিয়মিত এ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে তা নেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে পড়ানোর এই অভিনব উদ্যোগে অভিভাবকরা কিছুটা হলেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চায়লে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের পদচারনা না থাকায় প্রায় প্রতিটা স্কুলের মাঠে প্রচুর ঘাস জন্ম নিয়েছে। এ ব্যাপারে সকল প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে তাদের দপ্তরী ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার রাখতে এবং বিভিন্ন স্কুলের ভবনে নতুন করে রং করে প্রস্তুুত রাখা হচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে স্কুল খোলার প্রস্তুতি আছে।

আরও খবর

🔝