gramerkagoj
বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
খেসারত দিচ্ছেন করোনার নমুনা দেয়া ৩০০ জন

❒ যশোর হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা

প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই , ২০২১, ০৯:৫৯:০৯ পিএম
আশিকুর রহমান শিমুল :
1625760009.jpg
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জটিলতা, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা কাটেনি। স্বেচ্ছাসেবক নমুনা সংগ্রহকারীদের খামখেয়ালিপনায় হাসপাতালের তিনশ’ নমুনা ফেরত পাঠিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নমুনা প্রদানকারীদের।  হাসপাতাল সূত্র জানায়, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন স্বেচ্ছাসেবী করোনার নমুনা সংগ্রহ করেন। ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে তিনশ’ নমুনা পাঠানো হয়। কিন্তু নমুনার সিরিয়াল নাম্বার ও নাম অস্পষ্ট থাকায় তা ফেরত এসেছে। পুণরায় আবারও তাদের নমুনা দিতে হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তি আর হয়রানি চরমে উঠেছে। সরকারি নির্দেশনার পরও বেশিরভাগ ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষার ফলাফল না দেখে রোগী ভর্তি নিচ্ছে না। শুধুমাত্র যমেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ফলাফল ছাড়া রোগী ভর্তি নিচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে শত চেষ্টা করেও ঠাঁই হয়না। এদিকে, করোনা পরীক্ষা নিয়ে রোগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগও প্রথম থেকে ছিল। হাসপাতালে রোগীর ইতিহাস শুনে অনেক সময় পরীক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু, নির্ধারিত বুথে গিয়ে রোগীদের নমুনা দিতে বেগ পেতে হয়। বেশ কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন যশোরের আহমেদ আলী। একই সমস্যায় তিনি আগেও  যমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরেন। ৩ জুলাই ফের তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বির্হিবিভাগে আসেন ডাক্তার দেখাতে। পরে ডাক্তার তাকে ফাঁকা ব্যবস্থাপত্রে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে তিনি হাসপাতালের করোনা বুথে নমুনা দেন। কিন্তু তার ভাগ্যে আজও রিপোর্ট জুটেনি। ৬ জুন রিপোর্ট আনতে হাসপাতালে গেলে জানানো হয়েছে তার নমুনা নষ্ট হয়ে গেছে। পুণরায় তাকে নমুনা দিতে হবে। এত দিন রিপোর্টের জন্য তিনি চিকিৎসা বঞ্চিত রয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন জানান, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ৪ জুলাই ডাক্তার তাকে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। তিনিসহ পরিবারের চারজন যমেক হাসপাতালের বুথে নমুনা দিয়ে আসেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তিনি কোনো রিপোর্ট পাননি। সর্বশেষ জানতে পেরেছেন ১ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা সকল নমুনা নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে আবারও নমুনা দিতে। এমন অবস্থায় অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন। তার মতো একাধিক নমুনা প্রদানকারীর অভিযোগ, ভোগান্তির অপর নাম যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনার নমুনা সংগ্রহ করার বুথ। সেখানে নমুনা দিতে গেলে পুরুষ ও নারীদের একই লাইনে দাঁড়াতে হয়। নমুনা সংগ্রহকারীদের সন্তুষ্ট না করলে চরম খাপার ব্যবহারের শিকার হতে হয়। করোনার নমুনার মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঠিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।  হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান জানান, ১ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত নেয়া নমুনাগুলো জিনোম সেন্টার ফেরত পাঠিয়েছে সত্য, যাদের নমুনা ফেরত এসেছে তাদের আবারও হাসপাতাল থেকে বিনামূল্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. ইকাবল কবীর জাহিদ জানান, হাসপাতাল থেকে আসা নমুনার টিউবগুলোতে আইডেনটিফিকেশন অস্পষ্ট থাকায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। 

আরও খবর

🔝