gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ব্যাংক এশিয়া চতুর্বাড়িয়া এজেন্ট শাখার অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতে আটক ৭

❒ প্রতারক রতন ও জাহিদ রিমান্ডে

প্রকাশ : বুধবার, ৭ জুলাই , ২০২১, ০৯:৫৬:৫২ পিএম
অভিজিৎ ব্যানার্জী:
1625673463.jpg
বাঘারপাড়ার চতুর্বাড়িয়া বাজারের ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট শাখার গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে যাওয়া আলোচিত ৭ প্রতারককে আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি। ডিবির একটি চৌকস দল ৬ জুলাই রাত থেকে ৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত যশোরের বাঘারপাড়ার খাজুরা, হলদা, বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায়, চৌগাছা ও ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে রতন (৩০), বাঘারপাড়ার হালদা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে আনোয়ার জাহিদ (৪৫), তার ভাই মাজেদ মোল্লা (৫০), আব্দুল আজিজ মোল্লা (৪৮), বাঘারপাড়ার বানিয়াবহু গ্রামের আব্দুল হোসেনের ছেলে শাহিন হোসেন (৩৫), বেনাপোলের বারোপোতার মহিষাডাঙ্গা মাঝেরপাড়া গ্রামের আয়না ঢালীর ছেলে রজ্জত আলী (৪৫) ও  শিকড়ী পশ্চিমপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে ইমানুর হোসেন (৫২)। এই চক্রের প্রধান ছয়ঘরিয়ার মুশফিকুর রহমান ওরফে রতন ও হলদার  আনোয়ার জাহিদের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।  জেলা গোয়েন্দা শাখা সূত্র জানিয়েছে, বাঘারপাড়া উপজেলার চতুরবাড়িয়া বাজারে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট শাখার এজেন্ট আনোয়ার জাহিদ ও সহযোগী আলোচিত প্রতারক রতন ও তাদের সহযোগিরা ২০২০-২০২১ সালে ৩৪ জন গ্রাহকের আমানতের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন। তারা যোগসাজসে ৪১ লাখ ৬শ’ টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেন। এই ঘটনায় ব্যাংক এশিয়ার রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহম্মেদ বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলা নাম্বার ১। গত ৬ জুলাই দায়ের করা মামলায় বলা হয় ওই ঘটনায় ব্যাংক এশিয়ার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। মুসফিকুর রহমান রতন ও আনোয়ার জাহিদ চক্রের বিরুদ্ধে ৪২০/৪০৯/৩৪ পেনাল কোডের ধারায় মামলা রেকর্ড হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখার  দায়িত্ব পাওয়ায় পর ডিবির ওসি সোমেন দাশের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার পিপিএম, এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএম ও এসআই আরিফুল ইসলাম, এসআই শামীম হোসেনের সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়। ৬ ও ৭ জুলাই অভিযান চালিয়ে একেএকে আটক করা হয় ওই সাত প্রতারককে। ডিবির অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও উদ্ধারকৃত আমানত বই পর্যালোচনা করে পরিস্কার হয়েছে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। তাদের অপরাধের সত্যতাও পাওয়া গেছে। আসামি মুশফিকুর রহমান ওরফে রতন ও আনোয়ার জাহিদ চতুর ও প্রতারক। তাদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক জাল জালিয়াতি ও চেক ডিজঅনার মামলা রয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন হুসাইন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন জানিয়েছেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ওই চক্রটি গ্রামের সহজ সরল লোকজনের টাকা হাতিয়ে পথে বসিয়েছে। এছাড়া ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে বিষয়টি অনুসন্ধান করেও প্রাথমিকভাবে সত্যতা পান। তদন্তে তারা জানতে পারেন, উল্লে¬খিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল।

আরও খবর

🔝