gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
শয্যা বাড়লো যশোর হাসপাতালে, করোনায় জেলায় আরও ১৪ মৃত্যু
প্রকাশ : বুধবার, ৭ জুলাই , ২০২১, ০৯:৪৯:০৫ পিএম
আশিকুর রহমান শিমুল :
1625673068.jpg
করোনা রোগীদের চাপ সামলাতে অবশেষে ৬৪টি শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরমধ্যে ৪০টি করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ডের জন্য এবং ২৪টি উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য ইয়োলোজোনে। ইতিমধ্যে শয্যাগুলো রোগীদের জন্য ব্যবহার শুরু হয়েছে।এদিকে, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডজোন ও ইয়োলোজোনে চিকিৎসাধীন আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং আটজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। বুধবার যশোর জেলায় নতুন করে তিনশ’ ৭৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে রেডজোনে ৪০টি এবং ইয়োলোজেনে ২৪টি মোট ৬৪টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে পুরুষ পেইং ওয়ার্ডও রেডরোজ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। অন্যদিকে, হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রটি যুক্ত হলো নারী ইয়োলোজোন হিসেবে। এক্ষেত্রে, টিকাদান কেন্দ্রটি আপাতত নার্সিং কলেজে স্থানান্তর করা হলো। তিনি জানান, বুধবার থেকেই রেড ও ইয়োলোজোনে রোগী ভর্তি হওয়া শুরু হয়েছে।তত্বাবধায়ক বলেন, হঠাৎ ইয়েলোজোনে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় নতুন ওয়ার্ড সংযুক্ত করার মতো জায়গা হাসপাতালে ছিল না। সে ব্যবস্থা আপাতত করা ছাড়াও ইয়োলোজোনের সম্প্রসারিত ওয়ার্ডের মেঝেতেও বিছানা দিয়ে রোগী রাখা হবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৬০ রোগীকে এই ওয়ার্ডে রাখা যাবে। ৭ জুলাই থেকে এখানে রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।  যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড-রেডজোন ও ইয়োলোজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং আটজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। রেডজোনো মৃতুরা হলেন, বাঘারপাড়ার জামদিয়ার মৃত নওশের আলীর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬০), সদর উপজেলার রাজারহাটের সুলতান হাওলাদারের স্ত্রী আখলিমা বেগম (৬৫), পুলেরহাটের সেকেন্দার আলীর ছেলে আবুল খায়ের (৬৫), বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মিছির আলী (৫৫), শহরতলী ঝুমঝুমপুরের মতিয়ার রহমানের ছেলে হিরো গাজী (৬৫) ও গোপালগজ্ঞ জেলার ভাট্রকোপার মুন্সি আকরামের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৪)। ইয়োলোজোনে মৃতরা হলেন, ঝিকরগাছা পৌরসভার আব্দুল লতিফ (৩৫), ফরিদা বেগম (৫০), চৌগাছার কাবিলপুর গ্রামের মোমেনা বেগম (৬৫), যশোর সদরের রাজনগরের আনোয়ারা বেগম (৫৭), শহরতলী উপশহর এলাকার নুরুন নাহার (৪০), ঝিনাইদহের কৌটচাঁদপুরের হাওয়া বেগম (৫০), মহেশপুরের মির্জাপুর গ্রামের শান্তি বালা (৬০) ও যশোর সদরের ফুলবাড়ি গ্রামের রাবেয়া বেগম (৮০)।  বর্তমানে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডজোনে ভর্তি রয়েছেন একশ’ ৫৫ জন ও ইয়েলোজোনে ৮৮ জন। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রেহেনেওয়াজ জানান, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় এক হাজার ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে তিনশ’৭৩ জনের। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দুশ’ তিনজন। এছাড়া, কেশবপুরে ২৬ জন, ঝিকরগাছায় ৩০ জন, অভয়নগরে ৫২ জন, মণিরামপুরে ২৭ জন, বাঘারপাড়ায় ১২ জন, শার্শায় ১৯ জন এবং চৌগাছায় চারজন আক্রান্ত হয়েছেন।এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার একশ’ ৭০ জন। সুস্থ হয়েছে আট হাজার চারশ’ আটজন। মৃত্যু হয়েছে একশ’ ৮৭ জনের।

আরও খবর

🔝