gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
দাকোপ শিক্ষা কর্মকর্তাকে জীবননাশের হুমকি
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৬ জুলাই , ২০২১, ০৯:০১:১০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1625583888.jpg
খুলনার দাকোপ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন সহকারী শিক্ষকের অনৈতিক দাবিতে সম্মত না হওয়ায় তিনি শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলামকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। সূত্র জানায়, সম্প্রতি সরকার সকল শিশুর স্কুল ড্রেস তৈরির জন্য মায়েদের মুঠোফোনে ১ হাজার টাকা করে প্রদান করে। এতে দাকোপ উপজেলায় ১২ হাজার ৪ শত ৩৩ জন শিশুর স্কুল ড্রেস তৈরি বাবদ মোট ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে বরাদ্দ আসে। সহকারী শিক্ষক পল্লব কুমার বিশ^াস নিজে ওই ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার স্কুল ড্রেস তৈরির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে গত ৩০ মে অনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। অনৈতিক দাবি সমর্থন না করায় শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে অসংলগ্ন আচরণ প্রদর্শণ পূর্বক তার এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ জীবননাশের হুমকি প্রদান করেন। সাধারণ শিক্ষক মুকুল সরদার মুঠোফোনে জানান, আমার স্ত্রীর সার্ভিস বহি হালফিল করতে শিক্ষা অফিসে গিয়ে এধরনের ঘটনা দেখতে পাই। শিক্ষা পরিবারের মান-সম্মান রক্ষার স্বার্থে এ সময়ে ঘটনাটি এড়িয়ে যাই। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, এধরনের ঘটনার সময় আমি স্যারের সামনে বসে অফিসিয়াল আলাপ-আলোচনা করছিলাম। কোন কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই পল্লব কুমার বিশ^াসের অনৈতিক দাবি সোয়া কোটি টাকার শিশুর স্কুল ড্রেস তৈরির বাণিজ্যের প্রতি স্যারের কোন সমর্থন না থাকার কারণে পল্লব সরাসরি শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম স্যারকে জীবননাশের হুমকি দেন।সূত্র জানায়, শিক্ষকতা পেশায় আসার পূর্বে পল্লব কুমার ছাত্র রাজনীতির দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতেন। যার আলামত নিজের শরীরে বহন করছেন। বোমা বিস্ফোরণে তার এক হাত ও শরীরের এক অংশ ঝলসে যায়। এ পেশায় বিশেষ বিবেচনায় আসার সুযোগ পেলেও পূর্বের সেই সন্ত্রাসী সহচরদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং সেই পূর্বের আচার-আচরণ একইভাবে রয়েছে। দাকোপ উপজেলার সাবেক দুই জন শিক্ষা কর্মকর্তা জিএম আলমগীর কবির এবং শেখ আব্দুল গণি মুঠোফোনে জানান, সহকারী শিক্ষক পল্লবের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আমাদেরকেও  ঐ একইভাবে জীবননাশের হুমকি প্রদান করেন।সূত্র আরো জানান, পল্লব কুমার বিশ^াস সমিতির নাম ভাঙিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে ঘুষ, চাঁদাসহ মোটা অংকের উৎকোচ আদায় করতেন। আমাদের সময়ে তার মধ্যে কখনো কোন ধরণের শিক্ষকসুলভ আচরণ পরিলক্ষিত হয় না। আমাদের কর্মকালীন তার চাকরিকাল মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। তিনি স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। পল্লব কুমার বিশ^াসের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তীতে আমাদের মতো কোন শিক্ষা কর্মকর্তা এ উপজেলায় চাকরি করতে পারবেন না এবং সাধারণ শিক্ষকগণকেও আজীবন থাকতে হবে তার কাছে জিম্মি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম এবিষয়ে বলেন, সহকারী শিক্ষক পল্লব কুমার বিশ^াস বিবেকবর্জিত একজন ব্যক্তি। তার সাথে তর্কে জড়িলে গেলে আরো রুচিহীন ও বিবেকবিবর্জিত বিষয়ে গুজব রটনা পূর্বক সংবাদ প্রকাশ করে আমার মানহানি ও সামাজিকভাবে হেয় করবে।

আরও খবর

🔝